ঢাকা ওয়াসা পানির দাম বাড়ানোর যে প্রস্তাব করেছে, তার বিরোধিতা করেছে জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘পানির দাম বাড়ানো হবে গণবিরোধী সিদ্ধান্ত।’
বনানীতে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার দলের অতিরিক্ত মহাসচিবদের এক সভায় জি এম কাদের এ কথা বলেন।
ঢাকা ওয়াসার বিশেষ বোর্ডসভায় গত সোমবার পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব তোলা হয়। বিষয়টি নিয়ে বুধবার ওয়াসা ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে সংস্থাটি। সেখানে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান জানিয়েছেন, সরকার যে ভর্তুকি দিচ্ছে তা কমিয়ে আনতেই পানির দাম ২০ শতাংশের বেশি বাড়াতে চান তারা।
বিষয়টির বিরোধিতা করে জি এম কাদের বলেন, ‘পানির দাম বাড়ালে মানুষের কষ্ট আরও বেড়ে যাবে। তাই কোনোভাবেই পানির দাম বাড়ানো ঠিক হবে না। সম্প্রতি ওয়াসার বিশেষ বোর্ডসভায় পানির দাম বাড়ানোর যে প্রস্তাব করেছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
তিনি বলেন, মহামারি করোনার কারণে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। চাকরি ও ব্যবসা হারিয়ে দেশে বেকারের সংখ্যা কয়েক কোটি। এমন বাস্তবতায় সংসার চালাতে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছেন। আবার প্রতিদিনই দ্রব্যমূল্য বেড়ে আকাশচুম্বী হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, রাজধানীর অনেকেই প্রতি মাসে পানির বিল দিয়ে প্রয়োজনমতো পানি পাচ্ছেন না। আবার অনেকের অভিযোগ, ওয়াসা লাইনের পানি ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত হওয়ায় তা পান করা যায় না।’
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঢাকা ওয়াসা নিজস্ব আয় দিয়ে পরিচালন ব্যয় ও উন্নয়ন প্রকল্পের ঋণ পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে এ অজুহাতে পানির দাম বাড়ানো কখনই যৌক্তিক হতে পারে না।’
ওয়াসার দুর্নীতি ও অপচয়ের কারণে পরিচালন ব্যয় বাড়ায় পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন জি এম কাদের।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সাধারণ মানুষের অভিযোগে জানা যায়, ওয়াসার বিভিন্ন খাতে দুর্নীতি ও অপচয়ের কারণে অযৌক্তিক হারে উন্নয়ন ও পরিচালন ব্যয় বেড়েছে। যেটা পুষিয়ে নিতেই জনগণের ঘাড়ে অতিরিক্ত হারে পানির দাম চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, অতিরিক্ত মহাসচিব সাহিদুর রহমান টেপা, শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফকরুল ইমাম, এ টি ইউ তাজ রহমান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া ও মেজর (অব.) রানা মো. সোহেল।