বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিক্ষামন্ত্রীর সফরের আগেই শাবি প্রক্টরের বিদায়

  •    
  • ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৯:২১

শাবির অফিস আদেশে ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইশরাত ইবনে ইসমাইলকে প্রক্টরের পদে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে ভিসিকে অপসারণের দাবি এখনও পূরণ হয়নি। এ নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা আছে শিক্ষার্থীদের। এর মধ্যেই ক্যাম্পাসে যাচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে এবার সরিয়ে দেয়া হলো শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (শাবি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলমগীর কবিরকে।

এই পদে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইশরাত ইবনে ইসমাইলকে।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো এক অফিস আদেশে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে সই করেছেন রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন।

তবে আদেশে বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে প্রক্টরের পদ থেকে আলমগীর কবীরকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

গেল রোববার ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক পদ থেকে অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমদকে সরিয়ে দেয়া হয়।

শাবি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। ভিসির পাশপাশি ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক এবং প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিও তোলেন তারা। এই দুজনকে সরিয়ে দেয়া হলেও শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি এখনও পূরণ হয়নি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করতে শুক্রবার সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ক্যাম্পাসে পৌঁছে তিনি আলোচনা করবেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে।

মন্ত্রীর একান্ত সচিব আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘মন্ত্রী মহোদয় শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে রওনা হবেন। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলবেন।’

শাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সূত্রপাত হয় গত ১৩ জানুয়ারি। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদে লিজার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ এনে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন হলের ছাত্রীরা।

এই দাবিতে আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জানুয়ারি উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। ওই দিন সন্ধ্যায় পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে।লাঠিচার্জের পর দুই পক্ষে সংঘর্ষ বেধে যায়। এরপর রাবার বুলেট এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে উপাচার্যকে মুক্ত করে বাসায় নিয়ে আসে পুলিশ।ওই রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা ও শিক্ষার্থীদের পরদিন দুপুরের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেন উপাচার্য। এই নির্দেশনা উপেক্ষা করে ওই রাত থেকেই শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।পরদিন থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে টানা অবস্থান নেন তারা। সেখানে অনশনও শুরু করেন ২৮ শিক্ষার্থী। ২০ জানুয়ারি উপাচার্য ভবনের ফটকে ব্যারিকেড দিয়ে বাইরের কারও প্রবেশ বন্ধ করে দেন শিক্ষার্থীরা।গত ২৬ জানুয়ারি সকালে শাবির অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হকের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অনশন ভেঙে উপাচার্যের বাসভবনের ফটকের ব্যারিকেড তুলে নেন।অনশন ভাঙানোর পর অধ্যাপক জাফর ইকবাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে আসার আগে আমার সঙ্গে সরকারের উচ্চমহল থেকে কথা হয়েছে। তারা আমাকে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তাদের আশ্বাস পেয়েই আমি এখানে এসেছি।

‘আমি তাদের অনুরোধ করব, তারা আমাকে যে কথা দিয়েছেন সে কথাগুলো যেন রক্ষা করেন। আমি আর এই ছাত্রদের ভেতর কোনো পার্থক্য নেই। আমাকে দেয়া কথা না রাখলে সেটা কেবল আমার সঙ্গে না, এই দেশের সমস্ত প্রগতিশীল মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হবে।’অনশন ভাঙার পর জাফর ইকবাল ও ইয়াসমিন হকের হাতে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগসহ পাঁচটি দাবি সরকারের উচ্চপর্যায়ে পৌঁছে দেয়ার জন্য তুলে দেন।

এ বিভাগের আরো খবর