পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম রোস্তম আলী অবরুদ্ধ দশা থেকে মুক্ত হয়েছেন।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল আলীম।
তিনি জানান, ২৪ ফেব্রুয়ারি রিজেন্ট বোর্ডের পরবর্তি সভা আহ্বান করা হয়েছে। এই সভা আহ্বানের ঘোষণা এলে বৃহস্পতিবার বিকেলে ৪টার দিকে উপাচার্য এম রোস্তম আলী অবরুদ্ধ দশা থেকে মুক্ত হন।
অনিয়ম-দুর্নীতি ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে এদিন দুপুর ১টার দিকে উপাচার্যের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। শতাধিক পদে বিতর্কিত নিয়োগ নিয়ে হট্টগোলে রিজেন্ট বোর্ডসভা বাতিল হওয়ার পর শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভিসিকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করেন।
এদিন পূর্বনির্ধারিত রিজেন্ট সভা ছিল। সভায় শতাধিক পদে নিয়োগ, আপগ্রেডেশন এবং শিক্ষকদের এমফিল ও পিএইচডি অনুমোদন হওয়ার কথা ছিল। বৈঠকে বোর্ড সদস্যরা ভিসির বিরুদ্ধে অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উত্থাপন করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।
এ নিয়ে দুপক্ষে কথা-কাটাকাটি ও হট্টগোলের একপর্যায়ে উপাচার্য সভা বাতিল ঘোষণা করেন। এ সময় শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপাচার্যকে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
রিজেন্ট বোর্ড সদস্য ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু বলেন, ‘ভিসি সাহেব নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি পদে থেকে তার নিকটাত্মীয়কে (ভাতিজি) নিয়োগ দেন। বিষয়টি আইনগতভাবে বৈধ নয়। এ নিয়ে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে তিনি সভা বাতিল ঘোষণা করেন।’
উপাচার্যের মেয়াদকালে সবশেষ রিজেন্ট বোর্ডসভা বাতিল হয়ে যাওয়ায় শতাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর আপগ্রেডেশন এবং এমফিল, পিএইচডি অনুমোদন আটকে যায়। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ভুক্তভোগীরা। তারা উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। জটিলতা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত ভিসিকে কার্যালয় ছাড়তে দেবেন না বলেও জানিয়েছেন তারা।
বিষয়টি নিয়ে উপাচার্য এম রোস্তম আলীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।