বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার মামলায় রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার সাময়িক বরখাস্ত মেয়র আব্বাস আলীর জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত।
রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালে বৃহস্পতিবার তার জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। এ দিন দুপুরে শুনানি শেষে বিচারক জিয়াউর রহমান জামিন আবেদন নাকচ করেছেন।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা এ তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সম্প্রতি আদালতে মামলাটির অভিযোগপত্র জমা পড়েছে। এরপর বিচারের জন্য মামলাটি সাইবার ট্রাইব্যুনালে এসেছে। এ মামলার ধার্য তারিখ আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি। তবে তার আগেই বৃহস্পতিবার আদালতে নথি উপস্থাপন করে আসামির জামিন আবেদন করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘আসামি আব্বাস আলীর পক্ষে জামিন আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবী পারভেজ তৌফিক জাহিদী। শুনানির সময় রাষ্ট্র ও বাদীপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের বিরোধিতা করেছে।’
জামিন শুনানির জন্য আসামিকে আদালতে তোলা হয়নি বলেও জানান আইনজীবী ইসমত আরা।
আব্বাস আলী পর পর দুবার নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে মেয়র হন। তিনি ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও দলটির জেলা কমিটির সদস্য।
বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল প্রতিষ্ঠা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েন আব্বাস আলী। ঘরোয়া একটি বৈঠকের অডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পড়ে গত নভেম্বরে। অডিওতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করলে ‘পাপ হবে’ এমন মন্তব্য করতে শোনা যায় আব্বাসকে।
পর পর দুবার নৌকা নিয়ে মেয়র হওয়া আব্বাসের এ রেকর্ড ছড়িয়ে পড়লে রাজশাহীতে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। তাকে আওয়ামী লীগের দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে নগরীর বোয়ারিয়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল মমিন।
১ ডিসেম্বর ভোরে র্যাব ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন তাকে রাজশাহী কারাগারে পাঠানো হয়। গত ১০ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আব্বাসকে সাময়িক বরখাস্ত করে।