রাজধানীতে আলাদা ঘটনায় স্কুলছাত্রীসহ তিন নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ বুধবার রাতে মরদেহগুলো উদ্ধার করে। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
মৃতেরা হলেন- মুগদার স্কুলছাত্রী শান্তা আক্তার ও খিলগাঁওয়ের রওশন আরা বেগম। ওয়ারী থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তার পরিচয় এখনও জানান যায়ুনি।
শান্তা কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় ব্রাহ্মণচর গ্রামের মৃত কামাল ইসলামের মেয়ে। মা ও বড় বোনের সঙ্গে মুগদা মানিকনগর ৬৯/১ নম্বর বাসায় ভাড়া থাকত সে।
মুগদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবুল আনছার জানান, খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টায় মুগদা হাসপাতাল থেকে ওই স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে জানান এসআই আনছার।
শান্তার ভগ্নিপতি মাসুম হোসেন বলেন, মানিকনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত শান্তা। বুধবার সন্ধ্যায় তার মা ও বড় বোন বাসার বাইরে ছিলেন। সন্ধ্যার পর তার খালা বাসায় ফিরে শান্তার রুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। তাকে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে দেখেন আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে ঝুলছে।
পরে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে মুগদা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
কী কারণে সে আত্মহত্যা করতে পারে, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি স্বজনরা।
এদিকে খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সনিয়া পারভীন জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে খিলগাঁও কবরস্থানে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় রওশন আরার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চররাঘবপুর গ্রামের সাম্মত আলীর স্ত্রী।
এসআই সনিয়া জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন। কবরস্থানের মধ্যে গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে সিআইডি ক্রাইম সিন বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে।
রওশন আরার ছেলে মো. সজীব জানান, তারা চার ভাই, তিন বোন। ৮-১০ বছর ধরে তার মায়ের মানসিক সমস্যা ছিল। বিভিন্ন সময়ে তিনি বাসার বাইরে চলে যেতেন। বুধবার সন্ধ্যার দিকে তিনি রামপুরহাট রিয়াজবাগে মেয়ের বাসা থেকে বের হন। পরে ওই বাসার পাশেই খিলগাঁও কবরস্থানে গাছের সঙ্গে তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশে এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
অজ্ঞাত নারীর বিষয় ওয়ারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান জানান, অজ্ঞাতনামা নারী ভবঘুরে ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কয়েকদিন ধরে ওয়ারী থানাধীন ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কের মধ্যে ছিলেন তিনি। অসুস্থ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সেখান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।