বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘পর্যটনে রোহিঙ্গা আশ্রয়নের নেতিবাচক প্রভাব’

  •    
  • ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৬:৪৪

‘কক্সবাজার অঞ্চলে রোহিঙ্গারা আশ্রয় নেয়ার পর জেলার পর্যটন শিল্পে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে নিরাপত্তা সংকট, মাদকের কারবার, অপহরণসহ অন্যান্য প্রভাব- যা পর্যটন শিল্পের জন্য হুমকি।’

কক্সবাজার বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র। এই জনপদে মিয়ানমারের বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। তাদের কারণে পর্যটন খাতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে পিএইচডির ওপর ‘বাংলাদেশের কক্সবাজার এলাকায় পর্যটনে রোহিঙ্গা অভিবাসনের প্রভাব নির্ধারণ’ শীর্ষক দ্বিতীয় উন্মুক্ত সেমিনারে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ১১৩ নম্বর কক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে এই সেমিনার শুরু হয়।

সেমিনারের বিষয় ছিল ‘Determining the Impact of Forced Rohingya Migration in Tourism at Cox’s Bazar, Bangladesh’। পিএইচডির গবেষক ছিলেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন। সেমিনারে তিনি গবেষণার ফল উপস্থাপন করেন।

মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘কক্সবাজার অঞ্চলের অনেক মানুষের অর্থনৈতিক ও সামজিক অবস্থা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পর্যটন শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে জবরদস্তি বিতাড়িত হয়ে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়ার পর জেলার পর্যটন শিল্পে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে পরিবেশগত ও আর্থ-সামাজিক প্রভাব অনেক বেশি। বন উজাড়, পানি দূষণ, বর্জ্য সমস্যাসহ অর্থনৈতিক প্রভাব বিশেষ করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পর্যটন শিল্পে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান হারানো ও ব্যবসা-বাণিজ্যে এর প্রভাব ব্যাপক।

‘সামাজিক প্রভাব বিশেষ করে নিরাপত্তা সংকট, মাদকের কারবার, অপহরণসহ অন্যান্য প্রভাব- যা পর্যটন শিল্পের জন্য হুমকি।’

বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মাদ আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন পিএইচডি’র তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক ড. মল্লিক আকরাম হোসেন ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান খন্দকার।

ড. মল্লিক আকরাম হোসেন বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের কারণে শুধু স্থানীয় পর্যায়ে পর্যটনের পরিবেশ বিপর্যয় এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিপর্যয় হচ্ছে এমন নয়। এটা সামগ্রিক রাষ্ট্রের জন্যও ঝুঁকি।’

সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মো. আশরাফ-উল-আলম, সহযোগী অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক আইরিন সুলতানা, গবেষণা পরিচালক পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. পরিমল বালা, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নিগার সুলতানা, নাহরিন জান্নাত, সহকারী অধ্যাপক এনএম রিফাত নাসের, আব্দুল মালেক, মো. আশ্রাফ উদ্দীন, শাহানা সুলতানা, রিফফাত মাহমুদ, সহকারী প্রক্টর আব্দুল্লাহ মাহফুজ, কাজী নূর হোসেন মুকুল, নিউটন হাওলাদার, শাহনাজ পারভীন ও কাজী ফারুক হোসেন।

এ বিভাগের আরো খবর