বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফের পেছাল গৃহবধূ জাকিয়া হত্যা মামলার রায়

  •    
  • ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৬:১৩

ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক জাকির হোসেনের আদালতে বৃহস্পতিবার মামলার রায়ের জন্য দিন ঠিক ছিল। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে নতুন তারিখ ঠিক করে আদালত।

গোপালগঞ্জে জাকিয়া বেগম নামে গৃহবধূ খুনের মামলায় রায় পিছিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছে ট্রাইব্যুনাল।

ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক জাকির হোসেনের আদালতে বৃহস্পতিবার মামলার রায়ের জন্য দিন ঠিক ছিল। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে নতুন তারিখ ঠিক করে আদালত।

এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য তারিখ ঠিক ছিল। কিন্তু বিচারক ছুটিতে থাকায় তা পিছিয়ে আজকের তারিখ ঠিক করা হয়।

বিষয়টি সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আব্দুল্লাহ ভুঞা নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৩ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ঠিক করেন।

মামলার আসামিরা হলেন জাকিয়ার স্বামী মোর্শেদায়ান নিশান, নিশানের ভাই এহসান সুশান, ভগ্নিপতি হাসান শেখ ও ম্যানেজার আনিছুর রহমান।

নিশান মাছরাঙা টেলিভিশনের গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি ও স্থানীয় দৈনিক আমাদের গোপালগঞ্জ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। নিশান পলাতক রয়েছেন। অন্য তিন আসামি জামিনে ছিলেন। ১৩ জানুয়ারি আদালত তিন আসামির জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।

জাকিয়া আক্তারকে খুনের ঘটনায় তার বাবা জালাল উদ্দিন মল্লিক চারজনের নামে ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৬ সালে নিশানের সঙ্গে জাকিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নিশান ও তার পরিবারের সদস্যরা ১ কোটি টাকা যৌতুকের জন্য জাকিয়াকে বলেন। তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন তারা।

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে আসামিরা জাকিয়ার কাছে নিশানের নামে ঢাকায় ফ্ল্যাট কিনে দেয়ার জন্য যৌতুক দাবি করেন। জাকিয়া যৌতুক দিতে রাজি না হলে তারা জাকিয়াকে জোর করে শোয়ার ঘর থেকে রান্নাঘরে নিয়ে যান। নিশান অন্য আসামিদের প্ররোচনায় কুপিয়ে হত্যা করেন জাকিয়াকে।

মামলা তদন্ত করে ওই বছরের ৯ জুন গোপালগঞ্জ জেলার ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সওগতুল আলম চারজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন। এরপর গোপালগঞ্জ জেলা জজ আদালতে চার আসামির বিচার শুরু হয়।

মামলায় সাতজনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি আসার পর আরও ১৩ জন সাক্ষ্য দেন। চার্জশিটভুক্ত ২০ সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনেরই সাক্ষ্য নেয় আদালত।

এ বিভাগের আরো খবর