বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসা নিতে আসা করোনা রোগীদের ৮২ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত বলে এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
বিএসএমএমইউতে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সিকোয়েন্সিং রিসার্চ প্রজেক্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক (সুপারভাইজার) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান।
অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত এক মাসে (৯ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা নিতে আসাদের ৮২ শতাংশই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। আর বাকি ১৮ শতাংশ রোগী ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত।’
গত ১৮ জানুয়ারি এক অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউ জানিয়েছিল, হাসপাতালে আসাদের ২০ শতাংশ ওমিক্রন এবং ৮০ শতাংশ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত।
অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন বলেন, ‘ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে দ্রুত সংক্রমণ করে, তবে এই ভ্যারিয়েন্টে মৃত্যুহার কম।
‘গত এক মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশই ডেল্টায় আক্রান্ত ছিলেন। বাকি ২০ শতাংশ ওমিক্রনে আক্রান্ত।’
টিকা নেয়া ব্যক্তিদের মৃত্যুহার কমে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য। তিনি বলেন, ‘ডায়াবেটিস, ক্যানসার আক্রান্ত রোগী, বেশি বয়সী আর যারা ভ্যাকসিন নেয়নি, তাদের মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। তাই সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে হবে।’
করোনাকে বিদায় দেয়ার সময় এখনও আসেনি মন্তব্য করে শারফুদ্দিন বলেন, সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর দেশে প্রথম ওমিক্রনের রোগী শনাক্ত হয়। দেশে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৭০ জনের দেহে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রমণশীল ধরনটি শনাক্ত হয়েছে।
এর আগে আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘নমুনা পরীক্ষা কম হচ্ছে, যে কারণে করোনা শনাক্ত কম হচ্ছে। ওমিক্রনের যেহেতু সামাজিক সংক্রমণ হয়েছে, সে ক্ষেত্রে বর্তমান নমুনা পরীক্ষা আরও তিন গুণ বাড়ানো প্রয়োজন।
‘এ ছাড়া যাদের উপসর্গ রয়েছে, তাদের নমুনা পরীক্ষা করাতে আগ্রহী হতে হবে। যারা করোনা লক্ষণযুক্ত আছেন, তাদের বিনা মূল্যে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে।’