বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৬ বছর আগের হত্যায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড

  •    
  • ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৪:০৬

ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফাইজুন্নেছা বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন। এতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চারজন হলেন আব্দুল বাতেন, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে আলম, পলক রহমান ওরফে ডেঞ্জার সাগর ও পাপ্পু।

ছয় বছর আগে ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন আগানগর বাঁশপট্টি এলাকায় ওয়াসিম নামে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাইজুন্নেছা বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চারজন হলেন আব্দুল বাতেন, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে আলম, পলক রহমান ওরফে ডেঞ্জার সাগর ও পাপ্পু।

চারজনের মধ্যে আব্দুল বাতেন ও পলক কারাগারে ছিলেন। বাকিরা পলাতক।

রায় ঘোষণার আগে দুই আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবার তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়েছে আদালত।

আসামি পাপ্পু ঘটনার শুরু থেকেই পলাতক। জাহাঙ্গীর আলম পালিয়েছেন জামিনে গিয়ে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম দস্তগীর এসব তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।

২০১৫ সালের ৪ এপ্রিল কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন আগানগর বাঁশপট্টি এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর পাওয়ার স্টেশনের পেছন থেকে এক ব্যক্তির গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করে।

পরে পুলিশ তদন্ত করে মরদেহের পরিচয় এবং হত্যার কারণ উদঘাটন করে। আসামিদেরও গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিরা পুলিশকে জানায়, বাঁশ ব্যবসায়ী আলমকে ক্লাব থেকে বের করে দেন ওয়াসিম। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। এ কারণে ওয়াসিমকে হত্যা করার জন্য বাতেনের সঙ্গে টাকার বিনিময়ে চুক্তি করেন আলম।

সে অনুযায়ী ২০১৫ সালের ৩ এপ্রিল পলক ও সজীব বাঁশপট্টি দালানের সিলভারের মিলের কারখানায় বসে থাকেন। ওয়াসিমকে বাবুবাজার ব্রিজের ওপর থেকে ডেকে পলাশের কারখানায় নিয়ে যান বাতেন ও পাপ্পু। ওয়াসিম আসার সঙ্গে সঙ্গে সজীব, পাপ্পু, বাতেন তাকে ধরে রাখেন। পলক গেঞ্জি দিয়ে তার মুখ, হাত ও পা বেঁধে ফেলে। পরে তারা সবাই মিলে ওয়াসিমকে ছুরি দিয়ে হত্যা করে।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আলাদা দুটি অভিযোগপত্র জমা হয়। সজীব শিশু হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শিশু আইনে অভিযোগপত্র দেয়া হয়।

বর্তমানে সজিবের বিচার শিশু আদালতে চলছে বলে জানান আসামি বাতেনের আইনজীবী বিশ্বনাথ ঘোষ বিশ্বজিৎ।

গত বছরের ২৪ জানুয়ারি চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। আর সজীবের মামলাটি শিশু আদালতে বিচারাধীন।

এ বিভাগের আরো খবর