অ্যাসিড দগ্ধের ১২ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন কিশোরী সাথী আক্তার।
শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
সাথী সাটুরিয়ার ধানকোড়া ইউনিয়নের কাটাখালী ফেরাজীপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে। ধামরাইয়ের স্নোটেক্স নামে একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যুর বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন সাথীর বড় ভাই সোহেল হোসেন।
তিনি জানান, দগ্ধ হওয়ার পর সাথীকে প্রথমে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় পরদিন তাকে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে নেয়া হয়। সেখানে ১২ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি বাবার বাড়িতে মধ্যরাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তার সাবেক স্বামী নাঈম হোসেনের ছোড়া অ্যাসিডে ঝলছে যায় সাথীর হাত, মুখ ও গলা। এ ঘটনায় পরদিন সাটুরিয়া থানায় নাঈমের নামে মামলা করেন সাথীর ভাই সোহেল হোসেন।
এ মামলায় সপ্তাহখানেক আগে র্যাব অভিযানে চালিয়ে জেলার শাকরাইল এলাকা থেকে নাঈমকে গ্রেপ্তার করে।
সূত্রটি আরও জানায়, দুই বছর আগে সদর উপজেলার বেতিলা এলাকার নাঈমের সঙ্গে সাথীর বিয়ে হয়। নাঈম মাদকাসক্ত ছিল। তাই নাঈম-সাথীর মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই থাকত। এর জেরে আট মাস আগে তাদের বিচ্ছেদ হয়। এতে নাঈম ক্ষিপ্ত হয়ে সাথীর ওপর অ্যাসিড ছোড়ে।
এ ঘটনায় সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম বলেন, ‘গ্রেপ্তার নাঈমের নামে আগে অ্যাসিড ছোড়ার মামলা ছিল। এখন হত্যা মামলার ধারায় তার বিচার হবে।’
তিনি বলেন, ‘নিহতের মরদেহ এখনও হাসপাতালেই আছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’