তাপমাত্রা বাড়লেও ভোর সাড়ে ৫টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে মেহেরপুরে, যা এখনও চলমান। আবহওয়া অফিস বলছে, রাত পর্যন্তও চলতে পারে এ বৃষ্টি।
সকাল থেকে বৃষ্টিতে কাজে বের হতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। ঘরে বসে অবসর সময় পার করছেন তারা।
ভ্যানচালক টিটু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বৃষ্টির মধ্যেই ভ্যান নিয়ে বাজারে এসেছি, কিন্তু যাত্রীরা বৃষ্টির মধ্যে ভ্যানে উঠতে চাইছে না। তাই অপেক্ষা করছি বৃষ্টি থামার।’
ফল বিক্রেতা শানারুল বলেন, ‘হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হওয়াই আজ ফল বিক্রি করতে পারছি না। খোলা জায়গাতে আমার দোকান হওয়ায় বৃষ্টির কারণে দোকান খুলতে পারিনি।’
এদিকে সেচনির্ভর বোরো চাষে অসময়ের বৃষ্টি উপকার বয়ে আনলেও ক্ষতির মুখে পড়েছে গম, মসুরসহ অন্যান্য রবিশস্য, এমনটিই দাবি কৃষকদের। তারা মনে করেন, সপ্তাহ ঘুরে আবারও বৃষ্টি হওয়ায় ফসলের ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে।
কৃষক মুফা বলেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্যে দুবার বৃষ্টি হওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে। বিশেষ করে গমের শিষের মধ্যে পানি ঢোকায় ফলন অর্ধেক হইয়ি যাবে। তারপরও মাইনি নিতে হবে কারণ আল্লাহ যা করেন তাই ভালো।’
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা সামাদুল হক জানান, এ অঞ্চলে আজ সকাল ৯টার দিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২.০৪। এ বৃষ্টি রাত পর্যন্তও চলতে পারে।