দেশের পাঁচ উপজেলার ৭ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) আজ ভোট। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশনের অধীনে এটিই হতে যাচ্ছে শেষ নির্বাচন। এ কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৪ ফেব্রুয়ারি।
তফসিল অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। এদিন ৮ ইউপিতে ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে ভোলার লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নে ভোট হচ্ছে না হাইকোর্টের স্থগিত আদেশের কারণে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ বিভাগ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বদরপুর ইউনিয়নে সীমানা জটিলতা এবং ভোটার সংক্রান্ত একটি মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। সে জন্য আদালত চার সপ্তাহের জন্য নির্বাচন স্থগিত করেছে।
আজ ভোট হবে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সুখচর ও নলচিরা ইউনিয়ন, সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বর ও চর জুবলি ইউনিয়ন, ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার তারানগর ইউনিয়ন, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার শ্রীফলতলী ইউনিয়ন ও ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নে।
মেহেন্দিগঞ্জ এবং সুবর্ণচর উপজেলায় দুটি করে ইউনিয়নে নির্বাচন হচ্ছে। বাকি তিনটি উপজেলার একটি করে ইউনিয়নে ভোট হবে। এর মধ্যে মেহেন্দিগঞ্জের নির্বাচনে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসারের পাশাপাশি মোতায়েন থাকবে কোস্টগার্ডও।
সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৭১টি। ইতোমধ্যে ৪ হাজারের বেশি ইউপিতে ভোট শেষ হয়েছে। মামলা জটিলতায় বেশ কিছু ইউপিতে আপাতত ভোট আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না।
এবার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন শুরু হয় গত বছরের ২১ জুন। প্রথম ধাপে দুই দফায় ৩৬৯ ইউপিতে এবং দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৩ ইউপিতে ভোট হয়।
তৃতীয় ধাপে ১ হাজার ইউপিতে, চতুর্থ ধাপে ৮৩৬, পঞ্চম ধাপে ৭০৭, ষষ্ঠ ধাপে ২৯১ এবং সপ্তম ধাপে ১৩৮ ইউনিয়নে নির্বাচন হয়েছে।
স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে আজ অষ্টম ধাপের ভোটগ্রহণ। সবশেষ ৭ ইউপির ভোটের মধ্য দিয়েই আপাতত শেষ হবে তৃণমূলের ভোটযুদ্ধ।
নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে এবার বিএনপি স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। সে কারণে ধানের শীষ দলীয় প্রতীকের প্রার্থী দেখা যায়নি কোথাও।
তবে বিএনপির তৃণমূল নেতারা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে আছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
ইতোমধ্যে শেষ হওয়া দশম ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকার প্রার্থীরাই বেশি জয় পেয়েছেন। জয়ের পাল্লায় খুব বেশি পিছিয়ে নেই বিভিন্ন প্রতীক ও স্বতন্ত্র পরিচয়ে অংশ নেয়া একই দলের বিদ্রোহীরা।
ইউপি নির্বাচনে ইতোমধ্যে সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন অর্ধ শতাধিক মানুষ। তবে এসব মৃত্যুর দায় নিতে নারাজ ইসি। সামাজিক ও রাজনৈতিক বিরোধে এসব সহিংসতার ঘটনা বলে মনে করে কমিশন।