চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নে পরাজিত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকের বাড়িতে হামলার চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আট জনকে কুপিয়েছে তারা।
অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছে। পুলিশ গিয়ে হামলাকারী সন্দেহে দুইজনকে আটক করেছে।
তিতুদহ ইউনিয়নের ৬২ আড়িয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে বুধবার রাতে এই ঘটনা ঘটে।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর কবীর এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান টিপুর হয়ে কাজ করেছেন সপ্তম ধাপের ইউপি নির্বাচনে। পরিবারসমেত রাতের খাবার থেকে বসলে হঠাৎ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালায় নৌকা প্রার্থী শুকুর আলীর ২০ থেকে ২৫ জন লোক।
জাহাঙ্গীর বলেন, ‘তারা পিছন থেকে হঠাৎ হাসুয়া, চাপাতি, বাঁশ, রড দিয়ে হামলা করে। আমার মাথায় কোপ দেয়। আমাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে দুইজনকে আটকে রাখে। অন্যরা পালিয়ে যায়।’
দর্শনা থানার ওসি লুৎফর জানান, সেখানে গিয়ে হোসেন মিয়া ও শামীম হোসেন নামে দুইজনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। স্থানীয়রা তাদের আটকে মারধর করেছে। সেখান থেকে ৪ থেকে ৫টি হাসুয়া জব্দ করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, আহতদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। আর আটক দুইজনকেও সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে নৌকার প্রার্থী শুকুর আলীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
পরাজিত প্রার্থী মিজানুর রহমান বলেন, ‘শুকুর আলীর বেশিরভাগ লোকজন মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। নির্বাচনের কয়েকদিন আগেও আমার নির্বাচনি অফিসে হামলা চালায় তারা। আমার সমর্থকদের মারধরও করে।
‘আজ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সজ্জিত হয়ে আমার সমর্থকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ক্ষমতার জানান দেয়ার চেষ্টা করেছে শুকুর আলীর লোকজন। এ বিষয়ে আমরা আগামীকাল থানায় অভিযোগ দেব।’