নাশকতার অভিযোগে কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি নিয়ে আবারও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে বৈঠক করেছে হেফাজতে ইসলাম। বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। ধর্মভিত্তিক সংগঠনটির পক্ষ থেকে পরে গণমাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বুধবারের বৈঠকে হেফাজতে ইসলামের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির মহাসচিব সাজিদুর রহমান। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের নায়েবে আমির আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, নায়েবে আমির ও হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ইয়াহিয়া, নায়েবে আমির দেওনার পির অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদরীস নদভী ও প্রচার সম্পাদক মাওলানা মহিউদ্দীন রাব্বানী। বৈঠকে কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন হেফাজতের নেতারা।
হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বৈঠকে হেফাজত নেতাকর্মীদের নামে সব মামলা প্রত্যাহারের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে তাদের আশ্বস্ত করেন। একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কারাবন্দি নেতাকর্মীদের সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাৎ ও যোগাযোগের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেন।
গত বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতায় রাজপথে নামা হেফাজত ২৬ মার্চ থেকেই ব্যাপক সহিংসতা শুরু করে। সেদিন ঢাকায় সরকার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধ্বংসযজ্ঞ চালায় হেফাজতে ইসলাম। একই সঙ্গে সারা দেশে নাশকতা চালায় সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে এপ্রিল থেকে নাশকতার অভিযোগে হেফাজতের নেতাকর্মীদের আটক করা হয়। তাদের অনেকে অবশ্য পরে জামিনে ছাড়া পান।
হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলার মধ্যেই গত বছরের ২৬ জুলাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে তার বাসায় দেখা করতে যান হেফাজতের তৎকালীন আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। তার সঙ্গে ছিলেন তৎকালীন মহাসচিব নূরুল ইসলাম জেহাদী। তারা দুজনই এখন প্রয়াত।