আদালতের নির্দেশে গঠিত বোর্ডের সঙ্গে এক হয়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পরিচালনা করতে চান এটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেলের শ্বশুর রফিকুল আলম তালুকদার ও শাশুড়ি ফরিদা তালুকদার।
বিচারপতি মো. খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চে বুধবার হাজির হয়ে রাসেলের শ্বশুর-শাশুড়ি এ কথা জানান।
তারা আদালতকে বলেন, ‘কারাবন্দি ইভ্যালির এমডি রাসেলের কাছ থেকে শেয়ার নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইভ্যালি পরিচালনা করতে চাই।’
এ জন্য আদালতের অনুমতি চান তারা। তাদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এহসান সারোয়ার চৌধুরীও যুক্ত হন।
তাদের বক্তব্য শুনে এ বিষয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি এফিডেভিড (হলফনামা) আকারে জানাতে নির্দেশ দেন বিচারক।
এ সময় ইভ্যালির লিগ্যাল টিমের কো-অর্ডিনেটর দাবি করে ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড করা নিঝুম মজুমদারকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।
ইভ্যালির মালিক রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনসহ আত্মীয়দের ব্যাংক হিসাব জব্দের জন্য গত ৭ ফেব্রুয়ারি নোটিশ দেয় হাইকোর্ট।
পাশাপাশি ইভ্যালির রাসেল ও তার স্ত্রী, ভাই-বোন, বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি ও মেয়ের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক ব্যাংক হিসাব কেন জব্দ করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। এতে রাসেল ও তার পরিবারের সদস্যদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া ১০ ফেব্রুয়ারি ইভ্যালির কিছু গাড়ি নিলামের জন্য সুপ্রিম কোর্টের একজন ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
নিলামের জায়গায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে বলা হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার ও র্যাবের ডিজিকে।
আদালতে বোর্ডের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোরশেদ আহমেদ খান। অন্যদিকে রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন।
ইভ্যালির এক গ্রাহকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির সব ধরনের সম্পদ বিক্রি এবং হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল হাইকোর্ট।
এরপর গত বছরের ১৮ অক্টোবর ইভ্যালির ব্যবস্থাপনায় আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে (চেয়ারম্যান) পরিচালনা বোর্ড গঠন করে দেয় হাইকোর্ট।
বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী ছাড়াও বোর্ডের সদস্য করা হয় স্থানীয় সরকার ও পল্লি উন্নয়ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সচিব মো. রেজাউল আহসান, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহমেদ ও আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজকে। আর সরকারি বেতনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীরকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
ইভ্যালির অবসায়ন বা পরিচালনায় গঠন করা এ বোর্ডের কার্যক্রম চলছে।