চিত্রনায়ক রিয়াজের শ্বশুর, ব্যবসায়ী আবু মহসিন খানের লাইভে এসে আত্মহত্যার ভিডিও অপসারণের কাজ অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত কোনো লিংক বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে পাঠালে সেটি অপসারণে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়।
আবু মহসিন খানের আত্মহত্যার ভিডিও অপসারণ সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিকালে বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ কথা বলেন।
মামলাটি দুই সপ্তাহের জন্য মুলতবি করে আগামী ১ মার্চ এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছে আদালত।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব বলেন, ‘এরকম ভিডিও থেকে কেউ উৎসাহ পাক এটা আমরা চাই না। দেশের নাগরিক সুরক্ষিত থাকুক এটাই আমাদের চাওয়া, আমাদের কাম্য। সব কিছুরই ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক আছে। আমরা চাই ইতিবাচক দিকগুলোই সবার মধ্যে থাকুক।’
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন একেএম ফয়েজ। বিটিআরসির পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার রেজা-ই-রাকিব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।
শুনানিতে আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই রাকিব বলেন, ‘ফেসবুক লাইভে এসে আবু মহসিন খানের আত্মহত্যার ২২৭ ভিডিও লিঙ্ক চিহ্নিত করেছে বিটিআরসি। এর মধ্যে ফেসবুকে চিহ্নিত করা হয়েছে ২১১টি লিঙ্ক। ১৯০টি লিঙ্ক সরানো হয়েছে। ইউটিউবে চিহ্নিত করা ১০টি লিঙ্ক থেকে ৬টি সরানো হয়েছে। এ ছাড়া লাইকি ও টিকটক থেকে তিনটি ভিডিও অপসারণ করা হয়েছে।’
গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যা করেন চিত্রনায়ক রিয়াজের শ্বশুর আবু মহসিন খান। মুহূর্তেই সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে ছড়িয়ে পড়ে।
পর দিন ৩ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ এ ভিডিও অপসারণ চেয়ে আবেদন জানান।
আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে আবু মহসিন খানের আত্মহত্যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ সব ধরনের অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে অপসারণের নির্দেশ দেয়।
বিটিআরসি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাজেন্সিকে ছয় ঘণ্টার মধ্যে এ ভিডিও সরাতে বলা হয়। এ ছাড়া এই ভিডিও সব ধরনের ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।