বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে রাষ্ট্রের বদলে আওয়ামী লীগের প্রচার প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার বিকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমনটা দাবি করেন।
ব্রাসেলস দূতাবাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ হওয়া একটি বিজ্ঞপ্তির প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ওই বিজ্ঞপ্তিতে সুস্পষ্টভাবে আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মীর মতো বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। এটা দূতাবাসকে আওয়ামী লীগের প্রচার মাধ্যমে পরিণত করার একটি প্রমাণ।
‘বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস ক্যাডার সমন্বয়ে গঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দলীয় তৎপরতা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার চলমান অপতৎপরতার সর্বশেষ উদাহরণ।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘পৃথিবীর দেশে দেশে বাংলাদেশের স্বার্থ সুরক্ষা করাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনসস্ত দূতাবাসগুলোর দায়িত্ব। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় ওই দূতাবাসগুলোর সব ব্যয় বহন করা হয়। অথচ নির্লজ্জ ও অপেশাদার উপায়ে সেই প্রতিষ্ঠানকেও দলীয়করণ করে জনগণের স্বার্থবিরোধী কাজে লাগানো হচ্ছে। মিথ্যাচার এবং প্রতারণার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসনাল কমিটির চেয়ার গ্রেগরি ডব্লিউ মিকস নিউ ইয়র্কের কুইন্স এলাকায় তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়েছিলেন। বক্তব্যকালে প্রসঙ্গক্রমে তিনি বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কেও কথা বলেন। তিনি বাংলাদেশের এলিট ফোর্স হিসেবে প্রতিষ্ঠিত র্যব সদস্যদের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন।’
তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস কংগ্রেসম্যানের ওই বক্তব্যের একটি বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে। যদিও ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দূতাবাস আমন্ত্রিত ছিলো না। স্পষ্টতই, একটি দলীয় মাধ্যম ব্যবহার করে ওই বক্তব্য বিকৃত করে বাংলাদেশের সরকারি সংবাদ সংস্থা বাসসকে দিয়ে দেশ-বিদেশে প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।