বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লবিস্ট নিয়োগে বিএনপিকে সহায়তা করে পিস অ্যান্ড জাস্টিস: তথ্যমন্ত্রী

  •    
  • ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৪:০৫

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে দেশের সংগঠন খালেদা জিয়াকে এই সনদ দিয়েছে, সে দেশের আদালত বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে রায় দিয়েছে।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ উপাধি দেয়া কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান পিস অ্যান্ড জাস্টিস দেশবিরোধী প্রচারে লবিস্ট নিয়োগে বিএনপিকে সহায়তা করে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সচিবালয়ে মঙ্গলবার ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ সংগঠন সম্বন্ধে আপনাদের একটু তথ্য দেই। বিএনপি যে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছিল স্বনামে-বেনামে। গণমাধ্যমের সামনে এটা বেশ কয়েকবার বলেছি। একটি ফার্মের সাথে বিএনপি নিজের নামে চুক্তি করেছিল। কিছু কিছু লবিস্ট ফার্মের সাথে আবার বিদেশিদের মাধ্যমে চুক্তি করেছিল।

‘সেখানে একটা চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী হচ্ছে যে প্রতিষ্ঠান থেকে খালেদা জিয়াকে পদক দেয়া হয়েছে বলা হচ্ছে, অর্গানাইজেশন ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস। এটা হচ্ছে বিএনপির পক্ষে লবিস্ট ফার্মের সাথে চুক্তি করেছে। অর্থাৎ এরা দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে লবিস্ট ফার্মের সাথে চুক্তি করেছিল। সেখান থেকে তারা একটি সার্টিফিকেট নিয়েছেন সেটা আবার গণমাধ্যমের সামনে দেখাচ্ছেন।’

পদক পাওয়ার সাড়ে তিন বছর পর তা গণমাধ্যমের সামনে এনে বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়াকে ‘লাফিং স্টকে’ পরিণত করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে আমরা দেখলাম কানাডার একটি সংগঠন, যার নাম কেউ সহজে জানে না, যার জন্মও খুব বেশি দিন আগে না, তারা তাকে মাদার অব ডেমোক্রেসি বলে সনদ দিয়েছেন। এটি ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা ২০১৭-১৮ সাল থেকে বলা শুরু করেছেন।

‘সেটি দিয়েছে ৩১ জুলাই ২০১৮ সালে, সাড়ে তিন বছর পর বিএনপি হঠাৎ জানলো খালেদা জিয়াকে এরকম একটি সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে। আসলে পুরো বিষয়টি হলো হাস্যকর। যেভাবে সাড়ে তিন বছর পর বিএনপি নেতারা এভাবে গণমাধ্যমের সামনে এসে এ কথাগুলো বলল, সেটা হাস্যকর। বেগম খালেদা জিয়াকে একদম লাফিং স্টক হিসেবে বানিয়ে দেয়া হয়েছে এখানে।’

তিনি বলেন, ‘কানাডার ফেডারেল আদালত বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে রায় দিয়েছেন। সেখানে এটাও উল্লেখ করা হয়েছিল বিএনপি যেভাবে জ্বালাও-পোড়াও করেছে, তারা ভবিষ্যতেও এরকম করতে পারে।

‘সেখানে আবার একটি তথাকথিক হিউম্যান রাইটস অরগানাইজেশন থেকে তারা (বিএনপি) আবার একটি সার্টিফিকেট কিনেছেন। বিএনপি একটা পদক কিনেছেন এটা আবার সাড়ে তিন বছর আগে।’

ভারতীয় হাইকমিশনারের সাথে কি নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের রাষ্ট্রদূত আজ এখানে এসেছিলেন। আমরা দ্বিপক্ষীয় অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের যে চ্যানেলগুলো আছে সেগুলোর অনেকগুলোই ত্রিপুরায় দেখা যায়। সেখানে প্রদর্শনের ক্ষেত্রে তেমন একটা প্রতিবন্ধকতা নেই।

‘কিন্তু পশ্চিম বাংলায় এগুলো দেখা যায় না। এটাকে কীভাবে ফেসিলিটেড করা যায় সে প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পশ্চিম বাংলায় প্রতিটি চ্যানেলের কাছ থেকে ব্রডকাস্টাররা, তারা অনেক টাকা দাবি করে। এই টাকা দিয়ে চ্যানেলগুলো প্রদর্শন করা সম্ভব নয়। এটা কীভাবে সহজ করা যায় এটা কথা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেকগুলো চ্যানেল এবং পত্রিকার রিপোর্টাররা কলকাতায় কাজ করেন। এক্রেডিটেশন কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের অনেক প্রতিবন্ধকতায় পড়তে হয়। বেশিরভাগই কার্ড পায় না। কাজ করার জন্য তাদের এক্রেডিটেশন কার্ড দরকার হয়। সেটি তারা যেন পায় সেটির বিষয়ে কথা হয়েছে।

‘আমরা দু দেশের সমন্বয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটি সিনেমা করার চুক্তি করেছি। সেখানে আমাদের পক্ষ থেকে তানভির মোকাম্মেলকে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে একজন যুগ্ম পরিচালকের নাম দেয়ার কথা, সেটি আমরা এখনো পাইনি। সে বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কথা বলেছি।’

এ বিভাগের আরো খবর