রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগসহ দুটি দাবিতে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর ১২টা থেকে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা।
অবরোধকারীরা এ সময় দুটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো রাবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ রাখা এবং সিলেকশন পদ্ধতি বাতিল করা।
এ সময় তারা ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় সেকেন্ড টাইম কেন নয়’, ‘শেখ হাসিনার বাংলায় সেকেন্ড টাইম কেন নয়’, ‘প্রশাসনের জবাব চাই’ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
দাবি মেনে না নেয়া হলে অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
ঢাকার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ (ডিএমআরসি) থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা মো. সংগ্রাম বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়। তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ বন্ধ হওয়ার পর কেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সুযোগ বন্ধ হলো।
‘করেনার মধ্যে অটোপাস আমাদের শিক্ষাজীবন ধ্বংস করে দিয়েছে। আমাদের সহপাঠীদের মধ্যে যারা মেয়ে ছিল, তাদের জোরপূর্বক বাল্য বিয়ে দেয়া হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী লেখাপড়া বাদ দিয়ে দিনমজুরি করেছে। তাই দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ আমাদের অধিকার। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত এখানেই অবস্থান করব।’
রাজশাহীর সরকারি নিউ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান রহমান বলেন, ‘করোনায় যার বাবা-মা মারা গেছে, সে কীভাবে পড়ায় মনোযোগ দেবে।
দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে দুটি দাবি নিয়ে এসেছি। একটি, আমাদের দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে। আরেকটি, সিলেকশন পদ্ধতি বাতিল করতে হবে।’
সিলেকশন পদ্ধতি দিয়ে তাদের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে মন্তব্য করে এই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘যেখানে ঢাবি, জাবিতে সিলেকশন পদ্ধতি নেই, সেখানে রাবিতে কেন?
‘সিলেকশন আমাদের জন্য অভিশাপ। এই অভিশাপের কারণে ভালো রেজাল্ট নিয়েও পরীক্ষা দিতে পারিনি। এই অন্যায় আমরা মেনে নেব না। আমার বাবা-মার এত টাকা নাই যে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ব।’
দুপুর সোয়া ১টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও শিক্ষক মো. তারেক নূর। এ সময় তিনি বলেন, ‘উপাচার্য এখানে আসবেন না। তোমাদের পক্ষ থেকে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করো, সেখানে তিনি কথা বলবেন।’
দুপুর দেড়টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অবরোধ চলছে।