শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) জালিয়াতির মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হতে আসার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মঙ্গলবার বিকেলে ইকবাল হোসেন সাঈদ নামের ওই শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মুশতাক আহমেদ নিউজবাংলাকে জানান, গত বছরের ২৪ অক্টোবর শাবির ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মানবিক শাখার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা হয়। সাঈদের পরিবর্তে পরীক্ষা দেন রাশেদ নামের এক যুবক। তিনি পরীক্ষায় ৭৫৮তম হন।
কমিটির সদস্য সচিব সহযোগী অধ্যাপক চৌধুরী আব্দুল্লাহ হুসাইনী বলেন, ‘শাবিতে এখন তৃতীয় ধাপে ২০২০-২১ সেশনের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম চলছে। শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র যাচাইয়ের সময় কক্সবাজারের চকরিয়ার সবুজবাগ গ্রামের সাঈদের জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে।
‘কাগজপত্র যাচাইয়ের সময় সাঈদের স্বাক্ষর দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তাকে রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখতে বললে দেখা যায় সেই লেখা আর উত্তরপত্রের লেখা এক নয়। তার ছবির সঙ্গে অ্যাডমিট কার্ডের ছবিও মেলে না।’
হুসাইনী আরও বলেন, ‘তার পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স ইউনিভার্সিটিতে। কেন্দ্র জিজ্ঞেস করা হলে সেটিও ঠিকমতো বলতে পারেন না। দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি জালিয়াতির কথা স্বীকার করেন। এরপর তাকে আমরা প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর করি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আবু হেনা পহিল জানান, সাঈদের বন্ধু আতিকুর রহমানের বড় ভাই শহিদুল ইসলাম ভর্তি জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে জড়িত। শহিদুল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী। সাঈদ তাদের মাধ্যমে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকার চুক্তি করেন। তবে তিনি রাশেদকে চেনেন না বলে জানিয়েছেন।
সহকারী প্রক্টর বলেন, ‘আমরা এই শিক্ষার্থীকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেনকে জানানো হয়েছে। উনি ভর্তি কমিটির সঙ্গে কথা বলে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’