ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের উচাখিলা ইউনিয়নে ভোট শেষে দফায় দফায় ২০ বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নি-সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুটি গরু পিটিয়ে মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উচাখিলা ইউনিয়নের মরিচারচর মাইজপাড়া গ্রামে সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সব ঘটনা ঘটে।
ওই গ্রামে এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
সপ্তম ধাপে ইউপি ভোটে সোমবার উচাখিলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
স্থানীয়রা জানান, উচাখিলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন নজরুল ইসলাম। তিনি ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী আবুল বাশারকে নির্বাচনে তার পক্ষে কাজ করতে বলেন। বাশার নিজের ভোট চাওয়ার পাশাপাশি নৌকার প্রার্থী শফিকুলের পক্ষে কাজ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন নজরুল।
এলাকার লোকজন জানান, সোমবার ভোটের ফল ঘোষণার সময় সন্ধ্যায় বাশার ও তার স্বজনদের বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও আগুন দেন নজরুলের কর্মীরা। এ সময় আবদুল মজিদ ও এবাদুলের দুটি গরু পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। হামলাকারীরা নিয়ে গেছে দুটি ছাগল। এক পর্যায় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আবারও ওইসব বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় বলে জানিয়েছেন সদ্য বিজয়ী ইউপি সদস্য আবুল বাশার।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নজরুলের পক্ষে কাজ না করায় তার লোকজন আমাদের ২০টি ঘরে হামলা চালিয়ে লুটপাট করেছে। টিনের ঘরগুলোতে ইচ্ছেমতো কোপানো হয়েছে। আমি আইনের আশ্রয় নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী নজরুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘তার সাথে (আবুল বাশার) আমার কখনো মনোমালিন্য ছিল না। তার নির্বাচন সে করেছে, আমার নির্বাচন আমি করেছি। তাহলে আমার লোকজন তাদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করবে কেন?’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে আমাকে ঘায়েল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তারা ব্যর্থ হবে।’
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, ‘সহিংসতার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সেখানে পুলিশ টহল দিচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সোমবার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ১১ ইউপিতে ভোট হয়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ তিন, জাতীয় পার্টির তিন ও পাঁচ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।