ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের সপ্তম ধাপে এসে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ধরাশায়ী হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকের এ নির্বাচনে প্রথম ধাপে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা দাপট ধরে রাখলেও ধীরে ধীরে তাদের অবস্থান নড়বড়ে হতে থাকে।
নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা পোষণ করে বিএনপি দলীয়ভাবে এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। এ অবস্থায় অধিকাংশ ইউনিয়নের ভোটে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। বিএনপির অনুপস্থিতিতে তারাই হয়ে উঠেছেন নৌকা প্রতীকের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
সোমবার সপ্তম ধাপে দেশের ২০ জেলার ২৪ উপজেলায় ১৩৮ ইউপিতে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও ভোট হয়েছে ১৩৬টিতে। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে এই ধাপে ১৩২ ইউপির ভোটের ফল দেয়া হয়েছে। বাকি ৬ ইউপির নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
সপ্তম ধাপে ১৩২ ইউপির মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন ৪২টিতে, যা মোট ইউপির ৩০ শতাংশ। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন ৮৬ ইউপিতে, যা মোট ইউপির ৬৫ শতাংশ। এছাড়াও সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন ৩ ইউপিতে। জাতীয় পার্টির (জেপি) এক চেয়ারম্যান প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী সপ্তম ধাপে তৃণমূলের এ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে নীলফামারী সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নে, ৮৬ দশমিক ৮ শতাংশ। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নে, ৬১ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
তৃণমূলের এ ধাপের ভোটে সহিংসতায় দুইজনের প্রাণহানি ঘটেছে। তবে ভোটের পর সোমবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘গোষ্ঠীগত বিরোধের কারণে ঝামেলা হয়েছে। তবে সপ্তম ধাপের ইউপি নির্বাচনে প্রাণহানির ঘটনায় কমিশনের দায় নেই।’
গত জুন থেকে শুরু হওয়া ইউপি নির্বাচনে বিভিন্ন স্থানে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। তবে ষষ্ঠ ধাপে বিভিন্ন কেন্দ্রে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে প্রার্থীর ভোট বর্জনের খবর মিললেও কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।