ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে দাবি করে এসব বৈষম্য বন্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ উপাচার্য (শিক্ষা), রেজিষ্ট্রার এবং কলা অনুষদের ডিনকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী মোহাইমিনুলের পক্ষে মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এম নোমান হোসাইন তালুকদার এই নোটিশ পাঠান।
নোটিশে নোমান তালুকদার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, মনোনীত শিক্ষার্থীদের বিষয় পছন্দক্রমের ফর্মে উল্লেখিত বিষয়গুলোর সর্বনিম্নটি হলেও কোটায় মনোনীতদের তা দেয়া হবে। কিন্তু মোহাইমিনুলকে পছন্দক্রমের বাইরের একটি বিষয়ে ভর্তি হতে বাধ্য করা হয়েছে।
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটার সিট খালি থাকা স্বত্ত্বেও অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া খ ইউনিটে মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য বরাদ্দ ১১৯টি আসনও পূর্ণ করা হয়নি।’
আইনি নোটিশে বলা হয়, ‘এসব বিষয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ও বিধিমালা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তির সাথে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক।’
নোটিশ পাওয়ার তিন কার্যদিবসের মধ্যে কর্তৃপক্ষকে এসব ‘বৈষম্য’ বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়েছেন আইনজীবী নোমান। তা না হলে তিনি উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হবেন বলে জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলা অনুষদের সদ্য নির্বাচিত ডিন অধ্যাপক আবদুল বাছির বলেন, ‘এই ভর্তি প্রক্রিয়া আমি ডিন হওয়ার আগেই শেষ হয়ে গেছে। আমি এটি সম্পর্কে অবহিত নই। আর আমি এখনও লিগ্যাল নোটিশটিও পাইনি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘উনি এটি না বুঝে আমাকে পাঠিয়েছেন। এটি প্রো ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাকাডেমিকের কাজ না। ডিন অফিস থেকে যে নির্দেশনা থাকে সেভাবেই করি আমরা।’
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড মো আখতারুজ্জামানকে ফোন করা হয়। তবে সংযোগ না পাওয়ায় উপাচার্যের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।