বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেই রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আরও ২ প্রার্থীর অভিযোগ

  •    
  • ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৯:২১

সদস্য প্রার্থী মকবুল হোসেন বলেন, ‘ভোটের আগের দিন ৩০ জানুয়ারি রাত ১১টায় রিটার্নিং অফিসার তার লোকমারফত আমাকে ডেকে নেয়। এ সময় তিনি নির্বাচনে জয়ী করে দিবে বলে ২ লাখ টাকা ঘুষ দাবী করেন। আমি দিতে অস্বীকার করে চলে আসি।’

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ষষ্ঠ ধাপে দিনাজপুর সদর উপজেলার ১০ নম্বর কমলপুর ইউনিয়নে পরাজিত আরও দুই সদস্য প্রার্থী রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। অভিযুক্ত করেছেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকেও।

এসব অভিযোগ লিখিতভাবে মঙ্গলবার বিকেলে জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও সমন্বিত জেলা দুদক অফিসে জমা দিয়েছেন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী মকবুল হোসেন চৌধুরী ও সংরক্ষিত আসনের মেম্বার প্রার্থী শাহিনা বেবী।

এর আগে সোমবার বিকেলে পরাজিত তিন মেম্বার প্রার্থী একই অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

কমলপুর ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতাউল হক এবং ২ নম্বর ওয়ার্ডের কুতইড় আলহাজ পিয়ার মহাম্মদ সরকার দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ছিলেন আব্দুল্লাহ আল শামস। তারা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

নতুন করে অভিযোগ তোলা মকবুল হোসেন বলেন, ‘ভোটের আগের দিন ৩০ জানুয়ারি রাত ১১টায় রিটার্নিং অফিসার তার লোকমারফত আমাকে ডেকে নেয়। এ সময় তিনি নির্বাচনে জয়ী করে দিবে বলে ২ লাখ টাকা ঘুষ দাবী করেন। আমি দিতে অস্বীকার করে চলে আসি।

‘ভোটের দিন সকাল সাড়ে ৭টায় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে আমার এজেন্টদের নামের তালিকা নিয়ে যাই। তিনি আমার কাছ থেকে ৩ জন পুরুষ ও ২ জন নারী এজেন্টের নাম অন্তর্ভুক্ত করে। অথচ ওই কেন্দ্রে ভোট কক্ষ ছিল ৮টি। সকাল ১১টায় আমি ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে চাইলে প্রিসাইডিং অফিসার বাধা দেন। অথচ আমার প্রতিদ্বন্দ্বী রফিকুল ইসলাম ও তার লোকজন ভোটকেন্দ্রের ঘরে অনায়াসে ঢুকতে পারছেন।’

মকবুল আরও জানান, দুপুর ১২টায় ইভিএম মেশিনগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তাকে টাকা না দেয়ায় তাকে এসব কৌশল করে হারানো হয়েছে।

সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য প্রার্থী শাহিনা বেবী অভিযোগে বলেন, ‘রিটার্নিং অফিসার আতাউল ভোটের আগের দিন রাতে আমার কাছে ভোটে জিতিয়ে দিবে বলে ৩ লাখ টাকা দাবি করেন। আমি দিতে না পারায় আমাকে পরাজিত করা হয়েছে।’

প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কামাল ও রির্টানিং কর্মকর্তা আতাউল দুজনই জানিয়েছেন, এসব অভিযোগ অসত্য।

জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমকর্তা শাহিনুর ইসলাম প্রামাণিক জানিয়েছেন, অভিযোগকারীরা প্রমাণ দেখাতে পারলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর