বিরোধী দলগুলোর বৃহত্তর ঐক্য তৈরি না হলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা যাবে না বলে মনে করছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে মওলানা ভাসানীর কাগমারী সম্মেলন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
সরকার পতনের আন্দোলনে বিরোধী দলগুলোকে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘যদি বৃহত্তর ঐক্য তৈরি না হয়, তাহলে এই সরকারকে ফেলা যাবে না। সদ্য পাস হওয়া নির্বাচন কমিশন আইন প্রত্যাখ্যান করছি আমরা।’
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সমর্থনে ফাটল ধরায় আওয়ামী লীগ এখন কম্পমান। তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
৫ ফেব্রুারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন রাজধানীতে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, ‘জাতিসংঘের কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান গুমের তালিকায় যে লোকজনের নাম দিয়েছিল, তাদের অনেকের ভূমধ্যসাগরে সলিল সমাধি হয়েছে।
‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি আসল কারণ নয়। বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। তাই অনেক দেশ গুমের প্রসঙ্গটি সামনে এনে চাপ প্রয়োগ করে স্বার্থ হাসিল করতে চায়।’
ওই প্রসঙ্গ টেনে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘খুন-গুম তো হয় নাই। এরা সবাই ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা গেছে।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গুম হওয়া লোকদেরকে আমরা পরিবারের কাছে হাজির করব।’ তাদের কোথা থেকে হাজির করবেন? পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছেন, হয়তোবা সেই ছাই আমাদের সামনে হাজির করবেন।’’
আলোচনা সভায় গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ‘আমরা চাই, দেশে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বন্ধ হোক। আমরা চাই আওয়ামী লীগও দেশে রাজনীতি করুক। তবে তাদের চরিত্রের পরিবর্তন ঘটিয়ে।
‘আজকে দুর্বৃত্তরা হলো আওয়ামী লীগের হর্তাকর্তা। এ জন্য আওয়ামী লীগ বড় মানুষের দল থেকে একটা দুর্বৃত্তের দলে পরিণত হয়েছে।’