সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী গাড়িগুলোতে দক্ষ চালক নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে তিনি এসব গাড়ির চাপা বা ধাক্কায় আর কোনো হতাহত দেখতে চান না বলে জানিয়েছেন।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক) মঙ্গলবার তিনি এসব কথা বলেন।
হতাহতের ঘটনা এড়াতে সিটি করপোরেশনগুলোর বর্জ্য শোধনাগার লোকালয়ের বাইরে স্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছেন সরকারপ্রধান।
সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাগুলো সংবাদকর্মীদের সামনে তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িচাপায় গত কয়েক মাসে রাজধানীতে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। এমনকি মঙ্গলবারও ময়লাবাহী এক গাড়ির চাপায় রাজধানীর গাবতলীতে এক যুবকের পা থেঁতলে গেছে।
একনেক সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি দক্ষিণ ও উত্তর সিটির ময়লার গাড়িচালকরা বেশকিছু দুঃখজনক ঘটনা ঘটিয়েছেন। এতে আমরা সবাই দুঃখ পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বিষয়গুলো অবগত। এ জন্য তিনি বলেছেন, নতুন প্রকল্পের আওতায় দক্ষিণ সিটিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য যেসব গাড়ি কেনা হয়েছে সেগুলোতে যেন দক্ষ লোক নিশ্চিত করা হয়।
‘যেসব গাড়ি কেনা হয়েছে, সেগুলোর চালকদের বিশেষ ট্রেনিং দিতে হবে। এসব ঘটনা (দুর্ঘটনা) আর দেখতে চাই না।’
একনেক সভায় ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধিভুক্ত এলাকায় বর্জ্য অপসারণ ও ব্যবস্থাপনা সড়ক মেরামতের ব্যবহৃত আধুনিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহ এবং মেকানাইজড পার্কিং স্থাপনের মাধ্যমে যানজট নিরসন’ শীর্ষক ৩৩৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন পায়।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এসব শোধনাগার শহরের বাইরে স্থাপন করতে হবে। সেগুলোতে মডার্ন টেকনোলজি যোগ করতে হবে। কেমিক্যাল এবং ফিজিক্যাল দুই ক্ষেত্রেই সবশেষ টেকনোলজি ব্যবহার করতে হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘একনেক সভায় ‘চট্টগ্রাম-কুমিল্লা এবং ময়মনসিংহ (ত্রিশাল) মিলিটারি ফার্ম আধুনিকায়ন’ নামে ২৬৩ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।
‘অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য এলাকাতেও এসব ফার্ম স্থাপন করতে হবে। এতে বেসরকারি খাতে প্রযুক্তি স্থানান্তর হবে। এই শিল্প এগিয়ে যাবে।’
এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী বরাবরের মতোই প্রকল্পের কাজ যেন সঠিক সময়ে শেষ হয় সে বিষয়টিতে জোর দিয়েছেন বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান।