শেরপুরের শ্রীবরদীতে এক দিন মাদ্রাসায় না যাওয়ায় ছাত্রকে বেত দিয়ে পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক মো. আমানুল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
শ্রীবরদী থানায় মঙ্গলবার সকালে মামলাটি করেন ভুক্তভোগী ছাত্রের বাবা।
শেরপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া নিউজবাংলাকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মারধরের ঘটনার পর থেকে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আমানুল্লাহ পলাতক রয়েছেন। ঘটনার পর আমরা বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছি। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
মারধরের শিকার ওই ছাত্র জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
উপজেলার খড়িয়াকাজীরচর ইউনিয়নের পূর্ব খরিয়া গ্রামের নূর হেরা নূরানী তালিমুল কোরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসায় সোমবার দুপুরে তাকে পিটিয়ে জখম করা হয়।
ওই ছাত্রের বাবা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার ছেলে নিয়মিত মাদ্রাসায় যেত। পারিবারিক সমস্যার কারণে এক দিন যায়নি। সোমবার মাদ্রাসায় যাওয়ার পর দুপুরে সহকারী শিক্ষক মো. আমানুল্লাহ আমার ছেলেকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে বেত দিয়ে বেধড়ক পেটান।
‘তিনি আমার অসুস্থ ছেলেকে হাসপাতালে না নিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। শরীরের জখম দেখে আমি তাকে রাতে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। এমন শিক্ষকের বিচার চাই।’
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ‘হুজুর আমারে অনেক মারছে। আমি হুজুরের পা ধরেও বলছি আমারে মাইরেন না, তারপরও মারা বাদ দেই নাই। আমার বুকে লাথি মারে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রাসার কয়েকজন ছাত্রের অভিযোগ, ওই শিক্ষক আগে থেকেই যে কোনো কারণে তাদের অনেক মারধর করেন।
ঘটনার পর মাদ্রাসার বড় হুজুর মো. জাহিদুর বলেন, ‘আমি ঘটনার সময় শেরপুর ছিলাম। যিনি মারছেন তিনি অপরাধ করছেন। তিনি একজন আলেম হতে পারেন, কিন্তু মানুষ হয়ে মানুষকে এভাবে মারতে পারেন না। আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’