বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আশা জাগাচ্ছে ‘সমালয়’ পদ্ধতিতে ধান চাষ, কমবে ব্যয়

  •    
  • ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০৯:০১

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, সমালয় পদ্ধতিতে বীজতলা থেকে ফসল কাটা পর্যন্ত সব কাজ একযাগে করা হবে। প্রযুক্তির সাহায্যে অল্প মানুষ নিয়ে কাজ করা হবে। এতে জমির অপচয় কমবে।

বীজ বপন, চারা রোপণ থেকে শুরু করে ধান কেটে গোলায় সবই হবে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য। এতে শ্রমিক নির্ভরতার পাশাপাশি কমবে চাষির ব্যয়। এই পদ্ধতিকে বলা হয় সমালয়।

চলতি বছর কুমিল্লার মুরাদনগর, দাউদকান্দি ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ১৫০ একর জমিতে সমালয় পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপন করা হচ্ছে।

ট্রেতে করে বীজ বপন ও ট্রান্সপ্ল্যান্টারের সাহায্যে চারা রোপণের কাজ হয়েছে। ধান পাকলে যন্ত্রের সাহায্য কেটে কৃষকের গোলায় তোলা হবে।

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, সমালয় পদ্ধতিতে বীজতলা থেকে ফসল কাটা পর্যন্ত সব কাজ একযোগে করা হবে। প্রযুক্তির সাহায্যে অল্প মানুষ নিয়ে কাজ করা হবে। এতে জমির অপচয় কমবে।

প্রচলিত রীতিতে বীজতলা তৈরি না করে প্লাস্টিকের ফ্রেম বা ট্রেতে লাগানো হবে ধানের বীজ। ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে চারা হবে। এরপর সে ট্রেগুলো রাইস ট্রান্সপ্ল্যাটারে দিয়ে ধানের চারা রোপণ করা হবে।

একটি ট্রান্সপ্ল্যান্টার এক ঘণ্টায় এক একর জমিতে চারা লাগাতে পারে। এতে শ্রমিকের খরচ কমবে।

আরও সুবিধা হলো, চারা একই গভীরতায় সমানভাবে লাগানো যায়। একই সময় রোপণ করায় নির্দিষ্ট এলাকায় সব ধান পাকেও একই সময়। মেশিন দিয়ে একই সঙ্গে সব ধান কাটা ও মাড়াই করা যাবে।

রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ উদ্ধোধন করেন কুমিল্লা-১১ আসনের এমপি মুজিবুল হক মুজিব। ছবি: নিউজবাংলা

শনিবার সকালে রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ উদ্ধোধন করেন সাবেক রেলমন্ত্রী ও কুমিল্লা-১১ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুল হক মুজিব।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘সরকার কৃষকদেরকে প্রযুক্তির আওতায় আনতে কাজ করছে। এতে কৃষকের ব্যয় ও সময় বাঁচবে। অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে কৃষক।’

চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সামছুল ইসলাম হাদি বলেন, ‘সমালয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে একর প্রতি একজন কৃষকের মজুরি ব্যয় কমবে অন্তত ১০ হাজার টাকা। আগে প্রতি একর জমিতে কৃষি শ্রমিকের মজুরি ছিল ১২ থেকে ১৫ হাজার। সমালয় পদ্ধতিতে ব্যয় হবে ৩-৪ হাজার।’

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘সমালয় জনপ্রিয় হচ্ছে কুমিল্লায়, কারণ এখন কৃষিশ্রমিক পর্যাপ্ত নেই। প্রচলিত পদ্ধতিতে ধান চাষ করলে সময় বেশি লাগে, জমির অপচয় হয়। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে সমালয় পদ্ধতি খুব উপকারী।

‘বিশেষ করে ধান লাগানোর রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্ট মেশিন এখন কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। একটি ছোট মেশিনের দাম সাড়ে চার লাখ টাকার মতো। সরকার এতে ৫০ ভাগ ভর্তুকি দেবে। কুমিল্লা অঞ্চলের কৃষক সচেতন। তাই এখানে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে সমালয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষ।’

এ বিভাগের আরো খবর