বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পালপাড়ার সময় ভালো না

  •    
  • ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০৮:২১

মাটির তৈরি আসবাবপত্র হারিয়েছে সুদিন। একসময় ব্যাপক চাহিদা থাকলেও আধুনিক যুগে এর প্রয়োজন অনেকটাই ফুরিয়েছে। তাই অর্থকষ্টে পড়েছেন মৃৎশিল্পীরা।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের ঘারুয়া গ্রাম। এই গ্রামেই জরাজীর্ণ কয়েকটি বাড়িতে পাল সম্প্রদায়ের কিছু মানুষের বসবাস। অক্লান্ত পরিশ্রম আর মমতায় তাদের হাতেই রচিত হয় কারুকার্যময় মাটির আসবাব, শৌখিন ফুলের টব, পুতুল, মাটির ব্যাংকসহ নানা তৈজস।

কিন্তু বাজারে এসব জিনিসপত্র এখন অচলপ্রায়। বিক্রি কম। তাই অভাব হানা দিয়েছে পালপাড়ার প্রতিটি ঘরেই।

অথচ কয়েক যুগ আগেও ঘরে ঘরে মাটির বাসন-কোসনের ব্যবহার ছিল। প্রচুর চাহিদা ছিল তাই বাজারে। রমরমা ছিল পালপাড়াগুলোও।

পালপাড়ার কুমোরদের তৈরি নানা রকম হাঁড়ি-পাতিল, পনুয়া, কুসুরী, জলকান্দা, মালসা, দই টোপা, ঢাকনি, পিঠা তৈরির ছাঁচ, মাটির কলসসহ ছোট বাচ্চাদের খেলনা এখনও বিভিন্ন মেলায় বিক্রি হলেও পরিমাণে তা নগণ্য।

এদিকে করোনা মহামারির কারণে মেলার আয়োজনও বন্ধ। তাই মাটির জিনিসের বিক্রিও প্রায় থেমে গেছে বলে জানিয়েছেন পাল সম্প্রদায়ের মানুষজন।

নিজেদের অবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে ৩৫ বছরে পালবধূ উন্নতি পাল বলেন, ‘আমরা একসময় নানা রকমের আসবাব তৈরি করতাম। এখন স্টিল, সিরামিক, মেলামাইনের আসবাব বাজারে আসায় তেমন চলে না। শীতের সময় কিছু মালামাল তৈরি করি আর সারা বছর জালের কাটি বানাই। কিন্তু এখন চায়না জাল বাজারে আসায় কমে গেছে দাম।’

চাহিদা না থাকায় মাটির তৈরি আসবাবপত্রের বিক্রিও কমে গেছে। ছবি: নিউজবাংলা

৭২ বছরের নরেশ পাল বলেন, ‘আমরা যখন যবুক ছিলাম, বর্ষার দিন নৌকায় আর শুকনা দিনে মাথায় করে বিভিন্ন গ্রামে যেতাম মাটির আসবাবপত্র বিক্রি করতে। মেলায় মেলায় দোকান পসরা সাজিয়ে বসতাম। এখন তেমন কিছুই চলে না। বিক্রি-বাট্টা নেই। পাই না কোনো সাহায্য সহযোগিতাও।

অঞ্জলি পাল বলেন, ‘আমি তো বাপু এখন শুধু জালের কাটিই বানাই। বাকি সবকিছু ছেড়ে দিছি। বিক্রি করতে পারি না তো বানিয়ে লাভ কি!’

এই বিষয়ে স্থানীয় উদয় চন্দ্র পাল দাবি করেছেন, মাটির তৈরি কিছু আসবাবপত্রের চাহিদা এখনও আছে। কিন্তু দাম দিতে চান না ক্রেতারা। এতে খরচই উঠে আসে না। তাই অনেকেই এই পেশা ছেড়ে দিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিম উদ্দিন বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারি কোনো সাহায্য এলে আমরা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য সহযোগিতা করব।’

এ বিভাগের আরো খবর