বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শহীদ মিনারে অবস্থানরত কারিগরি শিক্ষকরা অনশনে যাচ্ছেন

  •    
  • ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:৫৫

‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, কারিগরি শাখার’ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ওমর ফারুক বলেন, ‘১ ফেব্রুয়ারি থেকে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি লাগাতার চললেও ৪ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে আমরা সংবাদ সম্মেলন করি। এরপর ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতীকী অনশন পালন করা হয়। আজ ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাবি মানা না হলে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরণ অনশন পালন করা হবে।’

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং অ্যানহ্যান্সমেন্ট (স্টেপ) প্রকল্পের অধীনে নিযুক্ত ৭৭৭ জন শিক্ষকের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর এবং ১৯ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সপ্তম দিনের মতো অবস্থান করছে প্রকল্পটির অধীনে নিযুক্ত শিক্ষকরা।

‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, কারিগরি শাখার’ ব্যানারে ৪৯টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষকরা ১ ফেব্রুয়ারি এই কর্মসূচি শুরু করেন। এর অংশ হিসেবে দাবি মানার দাবিতে আজ মঙ্গলবার থেকে আমরণ অনশনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

জানা যায়, ২০১০ সালে শুরু হয় স্টেপ প্রকল্প। এর আওতায় ২০১২ ও ২০১৪ সালে দু’দফায় নিয়োগ পাওয়া এক হাজার ১৫ জনের মধ্য থেকে ৭৭৭ জন শিক্ষক এখনো কর্মরত। ২০১৯ সালের জুনে প্রকল্প মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে এসব শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় তাদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠানো প্রস্তাবে সম্মতি দেন প্রধানমন্ত্রী। কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য স্টে অর্ডারও করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর প্রকল্প শেষে এক বছর তাদের বেতন দেয়া হয়নি। ২০২০ সালের জুলাই থেকে বেতন বন্ধ রয়েছে।

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়া সিরাজগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইনস্ট্রাক্টর ও ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ কারিগরি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, ‘স্টেপ-এর আওতায় আমাদের ট্রেনিং শেষ হওয়ার পর ২০১৯ সালের জুনে প্রধানমন্ত্রী আমাদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের জন্য লিখিত নির্দেশনা দেন। অজানা কারণে দুই বছরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা ১৯ ধরে বেতন পাচ্ছি না। বেতনের দাবিতে আমরা এখানে অবস্থান করছি। যতক্ষণ না প্রধানমন্ত্রীর কোনও নির্দেশনা বা আশ্বাস পাবো, ততক্ষণ আমরা এখানে অবস্থান করবো।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম বলেন, ‘আমি সার্কুলারের মাধ্যমে ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ওই প্রতিষ্ঠানে যোগ দেই। আমরা স্টেপ প্রকল্পের মাধ্যমে জয়েন করি। পরবর্তীতে মেয়াদ বাড়ানো হয়। ২০১৯ সালে আমাদের ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অনুশাসন দেন। এরপর থোক বরাদ্দ থেকে এক বছর বেতন পেয়েছি। কিন্তু গত ১৯ মাস ধরে বেতন পাচ্ছি না। আমরা কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা শুধু আশ্বাসই দিয়ে গেছেন।’

‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, কারিগরি শাখার’ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ওমর ফারুক বলেন, ‘১ ফেব্রুয়ারি থেকে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি লাগাতার চললেও ৪ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে আমরা সংবাদ সম্মেলন করি। এরপর ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতীকী অনশন পালন করা হয়। আজ ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাবি মানা না হলে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরণ অনশন পালন করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর