বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জন্মের ৩৫ দিনেই পুরস্কার লাভ ১৮ শিশুর

  •    
  • ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২০:৪৮

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন প্রত্যেক শিশুর অভিভাবক।

জন্মের পর কিছু না বোঝার আগেই পুরস্কৃত হলো লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৮ শিশু। নগদ টাকা ছাড়াও তাদের প্রত্যেককে দেয়া হলো একটি করে বনজ বৃক্ষের চারা।

পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়ার পক্ষ থেকে সোমবার শিশুদের এই পুরস্কার দেয়া হয়।

তবে এখনও নিজ হাতে পুরস্কার গ্রহণের সামর্থ্য না থাকায় শিশুদের পক্ষে এগিয়ে আসেন তাদের নিজ নিজ অভিভাবক।

সোমবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের হাত থেকে পুরস্কার হিসেবে নগদ ৫০০ টাকাসহ একটি করে গাছের চারা গ্রহণ করেন তারা।

জানা গেছে, জন্মের ৩৫ দিনের মধ্যেই জন্মনিবন্ধন সম্পন্ন করায় পৌরসভার উদ্যোগে শিশুদেরকে এভাবে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

পৌর মেয়র মাসুম ভূঁইয়া বলেন, ‘জন্মের পর অনেক শিশুর অভিভাবক জন্মনিবন্ধন করতে গড়িমসি করেন। বয়স বেড়ে গেলে নিবন্ধন করাতে বিভিন্ন বেগ পেতে হয় এবং হয়রানির শিকার হতে হয়। কিন্তু জন্মের ৩৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন করলে কোনো ঝামেলা থাকে না। তাই অভিভাবকরা যাতে জন্মের পরপরই তাদের নবজাতকের জন্মনিবন্ধন করান সে জন্য আমার পক্ষ থেকে শিশুদের জন্য ৫০০ টাকা এবং বিমা হিসেবে একটি গাছের চারা উপহার দিচ্ছি। শিশুটি বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাছও বড় হবে। ভবিষ্যতে গাছটি তার কাজে আসবে।’

তিনি জানান, গত কয়েক দিনের মধ্যেই ওই ১৮ শিশুর অভিভাবকরা তাদের জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। তাই তাদের উপহারের আওতায় আনা হয়েছে।

যেসব শিশু ৩৫ দিনের মধ্যে জন্মনিবন্ধনের আওতায় আসবে, তাদের প্রত্যেককে এই উপহার দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। এও জানান, এই সময়ের মধ্যে নিবন্ধন করলে তাদের কোনো ধরনের ফি দিতে হবে না।

পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাঈন উদ্দিন পাঠান, পৌর মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া, পৌর সচিব মো. আলাউদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা নজরুল ইসলাম ভুলু, মাহমুদুন নবী সোহেল, পৌর ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল খায়ের স্বপন, ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুর রহমান আলমগীর, ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন মাহমুদ প্রমুখ।

এ সময় শিশুদের পুরস্কৃত করার বিষয়টিকে সাধুবাদ জানান আমন্ত্রিত অতিথি এবং পৌর বাসিন্দারা।

শিশু আরিয়া জয়নব পাঠানের বাবা একেএস সালাউদ্দিন পাঠান বলেন, ‘এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। হয়রানি ছাড়াই আমার ছেলের জন্মনিবন্ধন করাতে পেরেছি। একই সঙ্গে উপহারও পেলাম।’

এমন উদ্যোগ গ্রহণ করায় পৌর মেয়রকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর