ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সপ্তম ধাপের ভোটে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া সোমবার দিনভরই ছিল অশান্ত। কয়েক ইউনিয়নে ঘটেছে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা, নিহত হয়েছেন দুইজন।
ভোট শুরুর পর দুপুর পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। আর বিকেলে অভিযোগ আসে, কালিয়াইশ ইউনিয়নে চাচাতো ভাইকে অপহরণ করে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ভোট বর্জনে বাধ্য করেছেন নৌকার প্রার্থী। তবে এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিউজবাংলাকে সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এই অভিযোগের কথা জানান স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভোট শুরুর পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমার চাচাতো ভাই শামসুল ইসলামকে অপহরণ করে নিয়ে যায় নৌকার প্রার্থী হাফেজ আহমেদের লোকজন। পরে তার ছেলে সন্ত্রাসী মিন্টু আমাকে জানায় যে শামসুলকে অপহরণ করা হয়েছে।
‘৫ মিনিটের মধ্যে নির্বাচন বর্জন না করলে তাকে মেরে ফেলা হবে এমন জানায়। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানালে সমস্যা হবেও বলছে সে। তাই কাউকে না জানিয়ে নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। বর্জনের ঘোষণা দেয়ার পর দুপুর ২টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে কালিয়াইশ ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী হাফেজ আহমদের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
তবে ভোট বর্জনের কোনো তথ্য পাননি বলে জানান সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু তালেব মন্ডল। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কালিয়াইশে নির্বাচন ঠিকঠাকভাবেই হয়েছে। তবে খাগরিয়া, সোনাকানিয়া ও কাঞ্চনা মিলে মোট চারটি কেন্দ্রে ঝামেলার কারণে ভোট স্থগিত করা হয়েছিল।’
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলীল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অপহরণের কোনো অভিযোগ থাকলে তো আগে পুলিশকে জানানোর কথা। আমরা এরকম কোনো অভিযোগ পাইনি।’