বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে ঢাবি শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’

  •    
  • ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৯:৩৪

জগন্নাথ হলে প্রীতম সিংহ আকাশের রুমমেট কৌশিক বলেন, ‘প্রীতম দা অনেক দিন ধরে হতাশ ছিলেন। মাঝে মাঝে রুমে চিল্লাপাল্লা করতেন। কিন্তু আমরা বুঝতে পারিনি যে উনি এ রকম কিছু করবেন। ক্লাস বন্ধ হওয়ায় গত ২৮ জানুয়ারি তিনি হল থেকে গ্রামে আসেন। গতকাল রাতে বাড়ির সবার সঙ্গে ভাত খেয়েছেন। এর কিছুক্ষণ পর উনি রক্তবমি করা শুরু করেন। কয়েকবার জিজ্ঞেস করার পর উনি স্বীকার করেন যে তিনি বিষ খেয়েছেন। এরপর বাড়ির পাশের হাসপাতালে ওয়াশ করার পর শহরে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।’

ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে টাঙ্গাইলের মধুপুরে নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রীতম কুমার সিংহ আকাশ।

তিনি চারুকলা অনুষদভুক্ত মৃৎশিল্প বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। থাকতেন জগন্নাথ হলের ১০০০৫ নম্বর রুমে।

মৃৎশিল্প বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাব্বির আল রাজি প্রীতমের আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সাব্বির আল রাজি বলেন, ‘গতকাল রাত একটার দিকে সে ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে ফেলে। পরে তাকে থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওয়াশও করা হয়। সেখান থেকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হলে পথে প্রীতম মারা যায়। আজ বিকেলে তার দাহ সম্পন্ন হয়।’

কোনো কারণ জানা গেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে সংশ্লিষ্ট কোনো কারণ আমরা জানতে পাইনি। তবে ব্যক্তিগত কোনো কারণ আছে কি না সেটি এখনও সম্পূর্ণরূপে উদঘাটন করা যায়নি।’

জগন্নাথ হলে প্রীতম সিংহ আকাশের রুমমেট ছিলেন ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী

কৌশিক সরকার। কৌশিক এখন প্রীতমের বাড়িতে রয়েছেন।

কৌশিক বলেন, ‘প্রীতম দা অনেক দিন ধরে হতাশ ছিলেন। মাঝে মাঝে রুমে চিল্লাপাল্লা করতেন। কিন্তু আমরা বুঝতে পারিনি যে উনি এ রকম কিছু করবেন। ক্লাস বন্ধ হওয়ায় গত ২৮ জানুয়ারি তিনি হল থেকে গ্রামে আসেন। গতকাল রাতে বাড়ির সবার সঙ্গে ভাত খেয়েছেন। এর কিছুক্ষণ পর উনি রক্তবমি করা শুরু করেন। কয়েকবার জিজ্ঞেস করার পর উনি স্বীকার করেন যে তিনি বিষ খেয়েছেন। এরপর বাড়ির পাশের হাসপাতালে ওয়াশ করার পর শহরে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।’

কৌশিক আরও বলেন, ‘প্রীতম সরকার পরিবারের বড় ছেলে। তার ছোট এক বোন আছে। ছেলের মৃত্যুতে বাবা অসুস্থ হয়ে যান। তিনি এখন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আর মা কান্না করতে করতে বারবার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর