ঢাকা নগর পরিবহনের নতুন তিনটি রুট ঘোষণা করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
সোমবার বেলা ৩টায় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২১তম সভায় এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম ভার্চুয়াল মাধ্যমে সভায় সংযুক্ত ছিলেন।
সভা শেষে গণমাধ্যমকে এই নতুন তিন রুট সম্পর্কে জানানো হয়।
মেয়র তাপস বলেন, ‘ঢাকা নগর পরিবহনের প্রথম যাত্রাপথ ২১ নম্বর রুট। এটা সবুজ গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত। একই গুচ্ছের আওতায় নতুন ২২, ২৩ ও ২৬ নম্বর রুট আমরা চিহ্নিত করেছি।’
নতুন ২২ নম্বর যাত্রাপথ- ঘাটারচর, বছিলা ও আসাদগেট হয়ে ফার্মগেট, শাহবাগ, পল্টন ও রূপসী হয়ে ভুলতা।
২৩ নম্বর যাত্রাপথ- ঘাটারচর-বছিলা-আসাদগেট হয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরি-শাহবাগ-পল্টন কমলাপুর-সায়েদাবাদ ও সাইনবোর্ড হয়ে মেঘনা ঘাট।
আর ২৬ নম্বর যাত্রাপথ হলো ঘাটারচর-বছিলা-আসাদগেট হয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরি-শাহবাগ-কাকরাইল-শাপলা চত্বর-দয়াগঞ্জ ও পোস্তগোলা হয়ে নারায়ণগঞ্জ।
মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘নতুন রুটের কর্মপরিকল্পনা ও কী কী উন্নয়ন পরিচালিত হবে, যাতে করে আমরা আরও ভালো সেবা দিতে পারি সে লক্ষ্যে করণীয় নির্ধারণে আমাদের পরামর্শকরা কাজ শুরু করেছেন। আগামী সভায় তারা সুপারিশমালা দেবেন। এরপর করণীয় নির্ধারণ করে কাজ শুরু করা হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র তাপস বলেন, ‘এই সবুজ গুচ্ছে আটটি যাত্রাপথ রয়েছে। আমরা প্রথম রুট সফলতার সঙ্গে চালু করেছি। নতুন তিন রুট কবে নাগাদ চালু হবে তা এই মুহূর্তে নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। অনেক বিষয় এর সঙ্গে জড়িত। একটি একটি করে নয়, আমরা একসঙ্গে তিন যাত্রাপথ নিয়ে কাজ করছি। তার মানে আমাদের কার্যক্রম আরও বেগবান ও গতিশীল হচ্ছে। এই তিনটি চালু হওয়ার পর বাকি চার যাত্রাপথ চালুর মাধ্যমে সবুজ গুচ্ছ শেষ করা হবে। আমরা আশাবাদী, এই বছরই এই কার্যক্রম শেষ করতে পারব।’
নতুন দুই বাসের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা আরও দুটি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দিয়েছি। জাহান এন্টারপ্রাইজ নতুন করে ৬০টি বাস দেবে। এইচআর এন্টারপ্রাইজ দেবে পাঁচটি বাস।
অনেক জায়গায় এখনো যাত্রী ছাউনি করা হয়নি। এ সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, গত সভায় এগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। যাত্রী ছাউনি করা হচ্ছে। কেবল নারায়ণগঞ্জ অংশে আটটি যাত্রী ছাউনি এখনো সম্পন্ন হয়নি। তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। অনুমতি দিলেই এগুলো নির্মাণ করা হবে। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
বহরে যুক্ত হতে যাওয়া ৬৫টি বাস নতুন হবে কীনা-এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র বলেন, ‘২০১৯ সালের আগের বাস তো আমরা নিচ্ছিই না। আর জাহান এন্টারপ্রাইজ এবং এইচআর এন্টারপ্রাইজ নতুন বাস দেবে বলেছে।’
নগর পরিবহনের আয়ে ব্যয় সংকুলান হচ্ছে কী না জানতে চাইলে মেয়র তাপস বলেন, এখনই এটা নির্ধারণের সময় আসেনি। তবে আয় ও খরচ মোটামুটি সমান। এই তিনটি যাত্রাপথ চালু হলে আরও লাভ হবে। আর এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য লাভ করা নয়, যাত্রীসেবা।’
সভায় ঢাকা নগর পরিবহন পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেকের অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে ধরে দুই মেয়রই বিআরটিএ ও পুলিশের কর্মকর্তাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই পদক্ষেপ ফলপ্রসূ ও কার্যকর করতে তারা বিআরটিএ ও পুলিশের কর্মকর্তাদের দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দেন।