বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মির্জা ফখরুলের বিচার হওয়া দরকার: তথ্যমন্ত্রী

  •    
  • ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৬:১৭

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি নিজেও মনে করি, এই যে দেশের বিরুদ্ধে তিনি চিঠি দিলেন, সাহায্য বন্ধের কথা বললেন, এটার জন্য তার বিচার হওয়া দরকার, বিএনপিরও বিচার দরকার।’

দেশের সাহায্য বন্ধ করে লেখা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের চিঠির জন্য তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও মনে করি, এই যে দেশের বিরুদ্ধে তিনি চিঠি দিলেন, সাহায্য বন্ধের কথা বললেন, এটার জন্য তার বিচার হওয়া দরকার, বিএনপিরও বিচার দরকার।’

সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সোমবার তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা দেশের সাহায্য বন্ধের জন্য চিঠি লিখেছে। এটা যদি ইউরোপের কোনো দেশে হতো তাৎক্ষণিক মির্জা ফখরুল ও বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা হতো। তিনি রাজনীতিতে অযোগ্য হতেন। তার বিচার হতো।’

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেশের ভাবমূর্তিকে হেয় করার জন্য লবিস্ট নিয়োগ করেছে বলে যখন আমরা অভিযোগ করলাম প্রথমে বিএনপি অস্বীকার করেছে। এরপর মির্জা ফখরুল সাহেব বললেন, তিনি কোনো চিঠি দেননি।

‘পরে যখন আমরা বিএনপির প্যাডে মির্জা ফখরুলের সই করা চিঠি দেখালাম, বিএনপির কার্যালয়ের ঠিকানা দিয়ে লবিস্ট নিয়োগের দলিল যখন আমরা দেখালাম, তখন তারা নিশ্চুপ হয়ে গেল। তারা চুপসে গেল কারণ তাদের জবাব নেই। অপকর্ম ঢাকার জন্য এখন তারা নানা প্রশ্ন করার চেষ্টা করবে- এটা খুবই স্বাভাবিক।’

সরকারের লবিস্ট নিয়োগের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের পক্ষ থেকে রপ্তানি বাণিজ্য বাড়াতে পিআর ফার্ম নিয়োগ করা হয়। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও জানানো হয়েছে, আমরা পিআর ফার্ম নিয়োগ করেছি।

‘এগুলো করার জন্যই তো রপ্তানি বেড়েছে। কোভিডের মধ্যেও রপ্তানি বাড়ছে। এগুলো তো এমনি এমনি হয়নি। রপ্তানি বাড়াতে নানা জায়গায় লবিং করা হচ্ছে দেখেই তো এটা হচ্ছে। এগুলো ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট। এগুলো সরকারি চুক্তি। এখানে প্রশ্ন রাখার কিছু নেই।’

সার্চ কমিটি নিয়ে বিএনপি নেতাদের বিরূপ মন্তব্যেরও জবাব দেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আইন অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে। সেখানে দুজন বাদে সবাই সাংবিধানিক পদধারী। যখনই সার্চ কমিটি হবে এই সাংবিধানিক পদধারীরা দায়িত্ব পালন করবেন।

‘তারা সাংবিধানিক পদধারী সরকারের কোনো পদধারী নয়। রাষ্ট্রপতিও তাদের সরাতে পারবেন না। সেটির নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। দুজন সিভিল সোসাইটির সদস্য নেয়া হয়েছে। তারা দুজনই অত্যন্ত নিরপক্ষে মানুষ হিসেবে পরিচিত। এই সার্চ কমিটি নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের সুযোগ নেই।’

বিএনপি নেতাদের সমালোচনায় তিনি বলেন, ‘সবকিছুতেই না বলার বাতিক থেকে বিএনপি বের হতে না পারলে তারা যে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে জানি না। নির্বাচন কখনও সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয় না। নির্বাচনের সময় সরকার একজন কনস্টেবলও বদলি করতে পারে না। তখন সবার চাকরি নির্বাচন কমিশনের অধীনে হয়ে যায়। মূল কথা হচ্ছে, বিএনপির তো সরকারের প্রতি কোনো আস্থা নেই। তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জল ঘোলা করা।’

এ বিভাগের আরো খবর