বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বন্দরে কোকেনের চালান আটক মামলার বিচার শুরু

  •    
  • ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৫:৪৬

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাব্বির আহমেদ শাকিল বলেন, ‘কোকেন চালান আটকের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ২২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফখরুদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনান। পরে সব আসামির বিরুদ্ধে ১৯৭৪  সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫বি ও ২৫ডি ধারায় আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়।’

চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেনের চালান আটকের মামলার বিচার শুরু হয়েছে। আদালত মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ২ মার্চ রখেছে।

২০১৫ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেনের চালান আটকের মামলায় ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে আদালত। এ সময় বিশেষ ক্ষমতা আইনের আরেকটি মামলায় আসামিদের মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে আদালত।

অভিযোগ গঠনের দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন পাঁচ আসামি। মামলার অন্যরা পলাতক।

সোমবার দুপুরে চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁইয়ার আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।

নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাব্বির আহমেদ শাকিল।

তিনি বলেন, ‘কোকেন চালান আটকের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ২২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফখরুদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনান। পরে সব আসামির বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫বি ও ২৫ডি ধারায় আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। আদালত মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে ২ মার্চ।’

অভিযোগ গঠনের দিন শুনানিতে ফখরুদ্দিন চৌধুরীকে সহযোগিতা করেন অতিরিক্ত পিপি নোমান চৌধুরী, আবু জাফর ও সাহাব উদ্দীন।

২০১৫ সালের ৭ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে ৯ হাজার কোটি টাকা মূল্যের কোকেনের চালান আটক করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৭ জুন বন্দর থানায় কোকেন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খানজাহান আলী লিমিটেডের মালিকানাধীন প্রাইম হ্যাচারির ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা সোহেলকে আসামি করে মাদক আইনে মামলা করে পুলিশ। পরে আদালত মামলায় চোরাচালানের ধারা সংযোগের নির্দেশ দেয়।

বলিভিয়া থেকে মেসার্স খানজাহান আলী লিমিটেডের নামে আমদানি করা সূর্যমুখী তেলবাহী কনটেইনারটি জাহাজে তোলা হয় উরুগুয়ের মন্টেভিডিও বন্দর থেকে। সেখান থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে ২০১৫ সালের ১২ মে চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। আদালতের নির্দেশে কনটেইনার খুলে ১০৭টি ড্রাম থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে ঢাকার বিসিএসআইআর ও বাংলাদেশ ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষায় এতে তরল কোকেনের অস্তিত্ব ধরা পড়ে।

মামলার ১০ আসামি হলেন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ ও তার ভাই মোস্তাক আহম্মদ, কসকো-বাংলাদেশ শিপিং লাইনসের ব্যবস্থাপক এ কে এম আজাদ, সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মেহেদী আলম, সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল, প্রাইম হ্যাচারির ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা সোহেল, পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, লন্ডন প্রবাসী চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ফজলুর রহমান ও মৌলভীবাজারের বকুল মিয়া।

এ বিভাগের আরো খবর