চিড়িয়াখানায় দায়িত্বরতদের অবহেলার কারণে কোনো প্রাণী মারা গেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেছেন, তদন্তে কারও কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রাণী মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে দুটি কমিটি গঠনের পর আরও একটি কমিটি করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, রংপুর ও ঢাকা চিড়িয়াখানায় অস্থায়ীভাবে জনবল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সার্বিক পরিবেশ ও তদারকির স্বার্থে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সোমবার সকালে মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখতে যান শ ম রেজাউল করিম।
সম্প্রতি জাতীয় চিড়িয়াখানায় দুটি জেব্রার বাচ্চা, একটি জিরাফ, একটি আফ্রিকান সিংহ ও রংপুর চিড়িয়াখানায় একটি প্রাণী মারা গেছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে যাচাই-বাছাইয়ে ব্যাকটেরিয়ার কারণে এসব প্রাণী মারা গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রাণীগুলো মারা যাওয়ার প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখতে এরই মধ্যে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আরও একটি কমিটি গঠন করা হবে।’
চিড়িয়াখানার কর্মীদের কোনো গাফিলতি আছে কি না, সেটাও দেখা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘চিড়িয়াখানায় দায়িত্বরতদের অবহেলা বা অমনোযোগিতার কারণে প্রাণীগুলো মারা গেছে কি না, সেসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে কারও কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ঘোষণা ছাড়া চিড়িয়াখানা পরিদর্শনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘চিড়িয়াখানায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি কেমন থাকে, সেটি দেখতে আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছি। এখানে যেসব কর্মকর্তা, চিকিৎসক, কর্মচারী ও সুপারভাইজার আছেন, তারা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছেন কি না, সঠিক সময়ে তারা উপস্থিত হচ্ছেন কি না, রক্ষিত প্রাণীগুলোর নিয়মিত পরিচর্যা হচ্ছে কি না, পরিবেশ ও প্রাণিখাদ্য পর্যাপ্ত ও সঠিক টাইমে দেয়া হচ্ছে কি না, এসব বিষয় দেখতে আকস্মিক পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’
চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখে যেখানে সমস্যা দেখেছেন, তা নিরসনে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘চিড়িয়াখানায় কিছুটা জনবল সংকট রয়েছে। সে কারণে আপাতত অস্থায়ীভাবে জনবল নিয়োগ দেয়া হবে।’
মানুষের বিনোদনে জাতীয় চিড়িয়াখানা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান জানিয়ে শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘এটিকে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে কাজ শুরু হয়েছে। আগামী মার্চের মধ্যে আধুনিক চিড়িয়াখানার পরিকল্পনা তৈরি হবে।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর আব্দুল লতিফসহ অন্যরা ওই সময় উপস্থিত ছিলেন।