ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় পড়া না পারায় ৪ বছর বয়সী এক মাদ্রাসাছাত্রীকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগে করা মামলায় ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
টবগী ইউনিয়নের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে রোববার রাতে শিক্ষক রেদোয়ানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় গ্রেপ্তার ৪০ বছর বয়সী রেদোয়ানকে সোমবার দুপুরে আদালতে তোলা হবে।
মামলার বরাতে ওসি জানান, ভুক্তভোগী শিশু উপজেলার টবগী ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ড মনিরাম বাজারসংলগ্ন বেপারী বাড়ি কওমি মাদ্রাসার নুরানি বিভাগের ছাত্রী। গত শনিবার সকালে মাদ্রাসায় গেলে শিক্ষক রেদোয়ান তাকে পড়া জিজ্ঞেস করেন। পড়া বলতে না পারায় শিশুটিকে বেত দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন তিনি।
এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার শিশুটির মা বোরহানউদ্দিন থানায় তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরে রোববার রাতে অভিযুক্ত রেদোয়ানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনার বিচার চেয়ে নিউজবাংলাকে ভুক্তভোগীর মা বলেন, ‘মাদ্রাসার শিক্ষক প্রায়ই ছাত্র-ছাত্রীদের মারধর ও গালাগাল করেন। ওই দিন আমার ৪ বছর বয়সের মেয়ে পড়া না পারায় তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে। আমি এই শিক্ষকের বিচার চাই।’
ওসি শাহীন ফকির বলেন, ‘শিশু শিক্ষার্থীর মায়ের মামলার ভিত্তিতে রোববার রাতে অভিযুক্ত শিক্ষক রেদোয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ দুপুরে তাকে আদালতে তোলা হবে। সেই প্রস্তুতি চলছে।’