বিদেশ যেতে প্রতারণা ঠেকাতে ব্যাপক প্রচারণা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আজকে বিশেষ করে শ্রমিক নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিশেষভাবে জোর দেয়া হয়েছে, কোনভাবেই যাতে শ্রমিকরা যারা বিদেশে যাবে আমাদের জনশক্তি তারা যেন, তারা নিজেরাও যেন একটু কাইন্ডলি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় বা তাদের অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে, কোনভাবেই যেন তারা একসেস না করে (অতিরিক্ত টাকা না দেয় পেমেন্ট)।
‘অনেকে না জেনে সরাসরি পেমেন্ট করে দেয়, সে জন্য একটা সাজেশন আছে, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে, তারা প্রোমোট করবে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে যাক। জমিজমা বিক্রি করে না গিয়ে ব্যাংক থেকে লোন নিলে একটা সুবিধা হবে, ব্যাংক কিন্তু তার অ্যাপয়েন্টমেন্টটা কনফার্ম না করা পর্যন্ত পেমেন্ট দেবে না। সেক্ষেত্রে সেও কিন্তু একটা সেইফটিতে থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু দালাল শ্রেণির লোকজনের খপ্পরে পড়ে বাড়িঘর বিক্রি করে দিয়ে, কয়েকজনের স্পেসিফিক আমরা আলোচনাও শুনলাম যে, মালয়েশিয়াতে গেছে তিন-চার লাখ টাকা করে দিয়ে, জমি বিক্রি করে, কিন্তু আনফরচুনেটলি ওই চার লাখ টাকা সে দু-বছরে তুলতে পারেনি। নিঃস্ব হিসেবে ফেরত আসছে।
‘তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাগে নির্দেশনা দিয়েছেন, বিদেশে যে লোকজন যাবে তা ভেরি প্রিসাইজ ও ট্রান্সপারেন্ট করে দিতে এবং টেলিভিশন, রেডিও, পেপারে- মিডিয়ার মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার করে দেয়া। বলা যে, এরা হলো অথরিটি, এই পরিমাণে টাকা লাগবে। আপনাদের যদি যথাসম্ভব টাকার প্রয়োজন হয় আপনারা অনুগ্রহ করে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ নিয়ে যান।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আরেকটা জিনিস যেটা মিটিংয়ে আলোচনা হলো, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও বললেন, ১০০ শিল্প পার্ক হচ্ছে, বেজা ও অন্যান্যদের, অনেক জায়গায় শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। সে জন্য এটাও প্রচারে আনার জন্য বলা হয়েছে।
‘মীরেরসরাই বা অন্যান্য জায়গায় যে শিল্প পার্ক হচ্ছে, এখানে লাখ লাখ শ্রমিকের প্রয়োজন হবে। নিজেরা ক্যাপাসিটি বিল্ডিং করে এসব খোঁজ নেন, খোঁজ নেন কোন অঞ্চলে কোন ধরণের শ্রমিকের প্রয়োজন হবে। সেই বিষয়ে ট্রেনিং নিয়ে আপনারা দেশেই ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
‘প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এগুলো যাতে ব্যাপকভাবে প্রমোশন ও ক্যাম্পেইন করে মানুষকে জানানো হয়। মানুষ যাতে প্রতারিত না হয়।’
কীভাবে ক্যাম্পেইন করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মিডিয়ার মাধ্যমে ক্যাম্পেইন হবে। ছোট ছোট টিভিসি করে দেয়া হবে। সরকারের যে চ্যানেল আছে সেখানেও তো করবেই। মূল ক্যাম্পেইন হবে মিডিয়ার মাধ্যমে।
‘সব ধরণের প্রসিডিউর, যত যা আইনগুলোর কথা বলা হয়েছে, প্রত্যেকটি যাতে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দিয়ে দেয়া হয়, কারও যাতে কোনো ধরণের সমস্যা না হয়।’