বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জামালপুর প্রেস ক্লাবের সহসভাপতির মৃত্যু

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১০:৫৭

সাংবাদিক দুলাল হোসাইনের বড় ছেলে সাইমুম সাব্বির শোভন জানান, ২০২১ সালের এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে তার বাবার শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে।

দীর্ঘ ১০ মাস ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ শেষে মারা গেলেন জামালপুর প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি সাংবাদিক দুলাল হোসাইন।

নিউজবাংলাকে মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার বড় ছেলে নিউজবাংলার জামালপুর প্রতিনিধি সাইমুম সাব্বির শোভন।

তিনি জানান, ২০২১ সালের এপ্রিল মাসের মাঝামাঝিতে তার বাবার শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে। তিনি কিডনি জটিলতা ও ডায়াবেটিসের সমস্যায়ও ভুগছিলেন।

দীর্ঘদিন সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভারতের চিকিৎসক শ্রাবন কুমার চিন্নিকাটির তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তার বাবাকে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানে মুম্বাইয়ের সুসরাত হাসপাতালের চিকিৎসক সুরেশ আদভানীর কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে কেমোথেরাপি নিচ্ছিলেন। এরপর থেকেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।

সবশেষ রোববার রাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে এবং সোমবার ভোরে সাভারের এনাম মেডিক্যালে নেয়া হয়।

সাংবাদিক শোভন জানান, হাসপাতালে আনার পর তার বাবাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান।

১৯৬৫ সালের ১০ ডিসেম্বর জামালপুর পৌর এলাকার হাটচন্দ্রা গ্রামে জন্ম নেন দুলাল হোসাইন। বাবা ইদ্রিস আলী আর মা আনোয়ারা বেগমের ৫ সন্তানের মধ্যে দুলাল হোসাইন ছিলেন তৃতীয়।

ছোটবেলা থেকেই দুলাল অত্যন্ত মেধাবী ও পরিশ্রমী ছিলেন। তবে আর্থিক অনটনের কারণে লেখাপড়া ছেড়ে অল্প বয়সেই সংসারের হাল ধরতে হয় তাকে। ১৯৮২ সালে যোগ দেন সাংবাদিকতায়। প্রথম কর্মস্থল ছিল পাক্ষিক জামালপুর প্রবাহ।

১৯৮৬ সালে ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত আঞ্চলিক পত্রিকা ‘দৈনিক আজকের স্মৃতি’তে যোগ দেন দুলাল। জেলা প্রতিনিধি হিসেবে জাতীয় পত্রিকা ‘দৈনিক ভোরের ডাক’ এ কাজ শুরু করেন ১৯৮৮ সালে। এরপর ১৯৯১ সালে ‘দৈনিক সকালের খবর’, ১৯৯৭ সালে ‘দৈনিক সংবাদ’ এবং ২০০০ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জাতীয় দৈনিক ‘ভোরের কাগজ’-এ স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

এ ছাড়াও ২০০৬ সালের ১ ডিসেম্বর বেসরকারি বৈশাখী টেলিভিশনে জামালপুর প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিয়ে ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে কাজ শুরু করেন। ২০০৯ সালে যোগ দেন দেশ টিভিতে। ২০১১ সালের ১৮ মে থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কাজ করেছেন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনে।

তিনি নির্ভীক ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার মাধ্যমে সুনাম কুড়িয়েছেন জামালপুরবাসীর। শুধু সাংবাদিকতায় নয়, সাংবাদিক নেতা হিসেবেও তিনি ছিলেন সফল। সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের সব আন্দোলনে সোচ্চার ও কঠোর ছিলেন দুলাল হোসাইন।

১৯৯১ সালে জামালপুর প্রেসক্লাবের ক্রীড়া ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন দুলাল। এরপর বিভিন্ন মেয়াদে বিভিন্ন সময় প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী পরিষদে ছিলেন তিনি। ২০০২ ও ২০১৮ সালে হন সাধারণ সম্পাদক।

প্রেসক্লাবের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন দুলাল। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন সহসভাপতি।

দুলাল হোসাইন বাবা, স্ত্রী, দুই মেয়ে, দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ৫৭ বছর।

এ বিভাগের আরো খবর