বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কুমিল্লায় উজিরদীঘি থাকবে না?

  •    
  • ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১০:২২

শহরের মধ্যে ৩০০ বছরের পুরোনো দীঘি থেকে পানি সেচা হচ্ছে। এত বড় একটি দীঘি শপিং মলের জন্য ভরাট করা হবে তা মানতে পারছেন না কেউ। কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি আইনের লঙ্ঘন।

কুমিল্লা নগরীর মনোহরপুরে ৩০০ বছরের পুরোনো উজিরদীঘি ভরাটের পাঁয়তারা চলছে। বিশাল এ দীঘি ভরাট করে শপিং মল ও কফিশপ করা হবে।

দীঘির পশ্চিম পাশে পুলিশ সুপারের বাংলো, পূর্বে কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ। উত্তর পাশে সার্কিট হাউস আর দক্ষিণ পাশে জনবসতি ও সদর উপজেলা ভূমি কমিশনারের কার্যালয়ে যাওয়ার সড়ক। তার মাঝে ৫ একর ৩৭ শতকের দীঘি। অন্তত ৫ হাজার মানুষ সরাসরি উপকৃত হয় এই দীঘির পানি ব্যবহার করে।

কুমিল্লাকে ব্যাংক ও ট্যাংকের জনপদ বলা হলেও গত ৩০ বছরে অন্তত কুড়িটি ছোট-বড় পুকুর ভরাট করে বহুতল ভবণ নির্মাণ করা হয়েছে।

গবেষক ও ইতিহাসবিদ আহসানুল কবির বলেন, ‘এ দীঘি শহরের অন্যতম পানির উৎস। এটি ভরাট হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে নগরের পরিবেশ। গত কয়েক বছরে কুমিল্লা নগরীর বেশ কিছু দীঘি ও পুকুর ভরাট করা হয়েছে। তাই পুকুর-দীঘি রক্ষায় আমাদের এখনই সচেতন হতে হবে।’

সম্প্রতি নগরীর মোগলটুলি এলাকার বাসিন্দা এ কে এম মহসিন উজিরদীঘিটি কিনে নিয়েছেন। তার পরই শুরু হয়েছে দীঘি থেকে পানি সেচার কাজ। এতে করে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন মনোহরপুরসহ পুরো নগরবাসী। এত বড় একটি দীঘি শপিং মলের জন্য ভরাট করা হবে তা মানতে পারছেন না কেউ।

শপিং মল গড়ার জন্য এরই মধ্যে দীঘি থেকে পানি সেচের কাজও শুরু হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা

দীঘির মালিক এ কে এম মহসিন জানান, প্রায় চার বছর আগে তিনি দীঘিরপাড়ের বাসিন্দা আসিফুল হকের কাছ থেকে এটি কিনেছেন। আসিফুল হক থাকেন ঢাকায়। কত টাকায় এটি কেনা হয়েছে, তা জানাতে রাজি হননি মহসিন।

তিনি জানান, তার ইচ্ছা দীঘির পানি সেচে চারদিক সংস্কার করা। পাশাপাশি দীঘির মাঝে ভাসমান কফিশফ তৈরি করা, সে লক্ষ্য তিনি কাজ করছেন।

সপ্তাহখানেক আগে মহসিন দুটি পানি সেচের মেশিন দিয়ে দীঘিটি থেকে পানি অপসারণ শুরু করেন। খবর পেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শওকত আরা কলি ও কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মৌসুমি আক্তার সেচ পাম্প বন্ধ করে দেন।

পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শওকত আরা কলি বলেন, ‘কোনো অবস্থাতেই দীঘি বা পুকুর ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। এটা সুস্পষ্ট আইনের ব্যত্যয়। আমরা মহসিনকে বলেছি, পানি সেচ বন্ধ রাখার জন্য। দীঘি ভরাটের কোনো পদক্ষেপ নিলে আমরা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেব।’

বিষয়টি নিয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী ড. সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো অবস্থাতেই দীঘির শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না, অর্থাৎ ভরাট করা যাবে না। তবে জনস্বার্থে সংস্কার করা যাবে। আমরা বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

উজিরদীঘি ভরাট করা নিয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘আমরা আগামী ২৪ জানুয়ারি বৈঠকের ডাক দিয়েছি। পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লোকজন থাকবে। দীঘি ভরাট বন্ধে আমরা ওই মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’

এ বিভাগের আরো খবর