বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাবিতে অর্থ আত্মসাৎ: চোর খুঁজে পায়নি তদন্ত কমিটি

  •    
  • ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০১:০৩

তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ফিরোজ আহমদে চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা কারো বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ পাইনি। তদন্ত প্রতিবেদনে অধিকতর তদন্তের সুপারিশ করেছি। একইসঙ্গে চেক চুরি, সই জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ এই তিনটির উপযুক্ত ধারায় মামলার সুপারিশ করা হয়েছে।’

ডিনের সই নকল করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের দুটি ব্যাংক হিসাব থেকে প্রায় ১১ লাখ টাকা চুরির ঘটনায় জড়িত ব্যক্তি খুঁজে বের করতে পারেনি তদন্ত কমিটি।

কমিটির প্রধান ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফিরোজ আহমদে চৌধুরী নিউজবাংলাকে রোববার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘এই চুরি কীভাবে হলো আর কে করলো সে বিষয়ে আমরা কারো বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ পাইনি। তদন্ত প্রতিবেদন ডিনের কাছে জমা দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে অধিকতর তদন্তের সুপারিশ করেছি। একই সঙ্গে চেক চুরি, সই জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ এই তিনটির উপযুক্ত ধারায় মামলার সুপারিশ করা হয়েছে।’

অনুষদ সুত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের মার্চ থেকে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিভাগটির উন্নয়ন তহবিলের হিসাব থেকে ৭ লাখ ৭৬ হাজার টাকা আর ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফার্মেসি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের হিসাব থেকে ৩ লাখ টাকা সরানো হয়েছে।

উন্নয়ন তহবিলের টাকা উত্তোলনে ব্যবহার করা হয়েছে অনুষদের তৎকালীন ডিন অধ্যাপক ড. এস এম আবদুর রহমানের সই। আর অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের টা তুলতে ব্যবহার করা হয়েছে অনুষদের ডিন আবদুর রহমান ও ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শাহ এমরানের সই।

তৎকালীন ডিন আবদুর রহমানের দাবি, অনুষদের হিসাবরক্ষক রাশেদ সাজ্জাদ এই কাজ করতে পারেন। কারণ দুটি হিসাবের চেকবই তার কাছে থাকে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, ‘হিসাব রক্ষকের অদক্ষতা ও অবহেলা আছে। তবে সে এ কাজ করেছে এমন কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি। সাবেক ডিনের (অধ্যাপক ড. এস এম আবদুর রহমান) বিষয়েও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’

এ বিষয়ে ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সিতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি। প্রতিবেদনে হিসাবরক্ষকের প্রতি প্রাথমিক সন্দেহ করা হয়েছে। তবে হিসাবরক্ষক স্বীকার করেনি। কমিটি বলেছে, এটির অধিকতর তদন্ত প্রয়োজন। আমরা এটি উপাচার্য স্যারের কাছে জমা দিয়েছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নির্দেশ দিলে আমরা সে অনুযায়ী এগুবো।’

এ বিভাগের আরো খবর