বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হুদা কমিশন: প্রাপ্তি শুধুই তিন সিটির ভোট

  •    
  • ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:২৩

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ। কুমিল্লা আর নারায়ণগঞ্জ সিটি ছাড়া বিতর্কহীন কোনো ভোট তারা করতে পারেনি। তারা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিল না। বুঝতেও পারে না তাদের কী দায়িত্ব। ওখানে দুর্নীতি হয়েছে। আমরা ৪২ জন নাগরিক রাষ্ট্রপতির কাছে তাদের অসদাচরণের জন্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’

কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে ১৪ ফেব্রুয়ারি। বিদায় বেলায় এই কমিশনের সঙ্গী হচ্ছে সমালোচনা আর বিতর্ক। প্রশংসার চেয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংসের অভিযোগের তীরই বেশি এই কমিশনের দিকে।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কয়েকটি সিটি করপোরেশন ছাড়া বিতর্কের ঊর্ধ্বে গিয়ে আর কোনো নির্বাচন আয়োজন করতে সক্ষম হয়নি হুদা কমিশন। এই কমিশন সংবিধান প্রদত্ত দায়িত্ব পালনে পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

নূরুল হুদার নেতৃত্বে বর্তমান নির্বাচন কমিশন ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্বভার গ্রহণ করে। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে সমালোচনার শিকার হন কমিশন-সংশ্লিষ্টরা। প্রশ্ন ওঠে তাদের নিরপেক্ষতা নিয়েও।

প্রাথমিক পর্যায়ের চাপ সামলে কুমিল্লা ও রংপুর ‍সিটি করপোরেশন নির্বাচন খানিকটা ‘বিতর্কমুক্ত’ হিসেবে আয়োজন করায় বেশ প্রশংসা পায় হুদা কমিশন। তবে সেই প্রশংসা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেয় এই কমিশন। জাতীয় নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে করার অভিযোগ ওঠে এই কমিশনের বিরুদ্ধে। নির্বাচন সংক্রান্ত অসদাচরণ এবং আর্থিক অনিয়মের অভিযোগও উঠেছে বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে থাকা এই কমিশনের বিরুদ্ধে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ। কুমিল্লা আর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন ছাড়া বিতর্কহীন কোনো ভোট তারা করতে পারেনি।

‘তারা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিল না। ওখানে দুর্নীতি হয়েছে। আমরা ৪২ জন নাগরিক মাননীয় রাষ্ট্রপতির কাছে তাদের অসদাচরণের জন্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তারা বুঝতে পারে না তাদের কী দায়িত্ব। আলতু-ফালতু কথাবার্তা বলে। ভোটার সংখ্যা কম হলে বলে- আমরা ভোটার ডেকে ডেকে কেন্দ্রে নিয়ে আসবো নাকি। আবার মারামারি হলে বলে এতে তাদের কোনো দায়-দায়িত্ব নেই।’

এ ধরনের কমিশনকে আর কী বলা যাবে প্রশ্ন তুলে হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, টোটালি ব্যর্থ কমিশন। তারা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কেই ওয়াকিবহাল না। তাদের যে অগাধ ক্ষমতা দেয়া আছে, ইভেন মোর পাওয়ারফুল দ্যান ইন্ডিয়ান ইলেকশন কমিশন- সেটা তারা জানে না। সেই ক্ষমতার ব্যবহার তারা করতে পারে না, করেনি।’

নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ব্রতীর নির্বাহী পরিচালক শারমিন মুরশিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমদের নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট নির্বাচনের যে মানদণ্ড, তার ধারে-কাছেও পৌঁছতে পারেনি এই নির্বাচন কমিশন।

‘নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনকে এতো বড় করে দেখার কিছু নেই। একটি-দুটি নির্বাচন ভালোভাবে আয়োজন করা মানেই এ নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করে তার মেয়াদ শেষ করলো তা নয়। বরং বলতে হবে, এই নির্বাচন কমিশন ইতিহাসে বহুদিন সমালোচিত হবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ নিয়ে মন্তব্যের কোনো প্রয়োজন নেই। দেশ-বিদেশে সবাই জানে বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থা বলে কিছু নেই। নির্বাচন বলেও কিছু নেই।

‘নির্বাচন কমিশনের এই ব্যর্থতার দায় শুধু কমিশন-সংশ্লিষ্টদের নয়। যারা সরকারে আছে তারা সবাই মিলে এই কাজগুলো করেছে। এজন্য নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া এখানে কোনো নির্বাচন হবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর