সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সক্রিয় বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। প্রায়ই দেশের ও বিদেশের অর্থনীতি, সঙ্গীতসহ নানা বিষয়ে পোস্ট দেন তিনি।
রোববার একটু ভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তাতে তিনি নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে প্রত্যাশার কথা লিখেছেন। নির্বাচন কমিশনারদের কী কী বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত, সার্চ কমিটির কাদের খুঁজে বের করা উচিত সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন প্রবীণ এই অর্থনীতিবিদ।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সেই পোস্ট এখানে হুবহু তুলে ধরা হলো—
‘নির্বাচন কমিশন গঠন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কারণ এটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রথম ধাপ এবং দেশে বিশ্বাসযোগ্য শক্তিশালী জাতীয় প্রতিষ্ঠান গঠন আদৌ সম্ভব কিনা তার একটা পরীক্ষাও। অবশ্য নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হতে হবে, সেটা আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তাতে সন্দেহ নাই।
‘নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের গুণাগুণ কেমন হওয়া উচিত, তা নিয়ে নাগরিক সমাজের সংগঠনসমূহ ও নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিরা তাঁদের সুচিন্তিত মতামত দিচ্ছেন। প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা এবং সেইসঙ্গে রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতার উপর তাঁরা যথার্থই গুরুত্ব দিচ্ছেন।
‘আমার কাছে আরো কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়: যাঁদের নির্বাচন কমিশনের প্রধান বা সদস্য পদ পাওয়াটা এবং এ ধরণের উচ্চ পদের জৌলুস উপভোগ করাটাই জীবনের পরম প্রাপ্তি বলে মনে হবে না, এবং দায়িত্ব পালনে নিষ্ঠা থাকলেও নিছক উচ্চ পদে আসীন হওয়া ছাড়াও জীবনের সফলতার অন্য মাপকাঠিও যাঁদের আছে।
‘এ রকম ব্যক্তিত্বের মানুষরাই কোনো কারণে দায়িত্ব পালনে অপারগ হলে পদের মোহ ত্যাগ করে পদত্যাগ করতে দ্বিধা বোধ করবেন না এবং অন্ততঃ ভবিষ্যতের জন্য একটা সঠিক বার্তা রেখে যেতে পারবেন। এরকম মানুষ নিশ্চয়ই আছেন, তবে তাঁদের খুঁজে বের করতে হলে সার্চ কমিটির সেরকম উদ্দেশ্য থাকতে হবে এবং খোঁজ খবর নেয়ার জন্যে একটু কষ্ট স্বীকার করতে হবে।’
অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ১৯৬৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। তিনি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি বর্তমান সরকারের রূপকল্প-২০৪১ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শ কমিটির চেয়ারম্যান।