মিল মালিকদের আবেদনের এক মাস পর তাদের প্রস্তাব মতোই এই দাম বাড়িয়েছে সরকার, যা সোমবার থেকে কার্যকর হবে।
রোববার বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠকে নতুন দর কার্যকরের সিদ্ধান্ত হয়।
এখন থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেলের প্রতি লিটারের সর্বোচ্চ মূল্য হবে ১৬৮ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতলের দাম ৭৯৫ টাকা, খোলা সয়াবিনের লিটার হবে ১৪৩ টাকা এবং সুপার পাম তেলের দাম হবে ১৩৩ টাকা।
গত ১৯ অক্টোবর সরকার সর্বশেষ সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারিত করেছিল, যাতে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৩৬ টাকা ঠিক করে দেয়া ধরা হয়েছিল।
আর বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ধরা হয়েছিল ৭৬০ টাকা এবং পাম তেলের দাম ছিল ১১৮ টাকা।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ৭ টাকা, সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের বোতলে ৩৫ টাকা এবং পাম তেলের দাম প্রতিলিটারে ১৫ টাকা বেড়েছে।
বৈঠকের পর বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ১৯ জানুয়ারি তেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে দেখা গেলো আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার ফলে এটা এডজাস্ট করা দরকার। তাদেরও কথা ছিল এটা এডজাস্ট না করলে তারা এলসি খুলতে পারবেন না, তাদের লস হচ্ছে। এসব কিছু বিবেচনায় নিয়ে দামটা বাড়ানো হলো।’
জানুয়ারির শুরুতেই ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যান মিল মালিকরা। সেই প্রস্তাবে বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটারে ৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল লিটারে ৭ টাকা বাড়ানোর দাবি ছিল। প্রায় এক মাস অপেক্ষার পর মিল মালিকদের দাবিই বাস্তবায়ন করা হলো।
অবশ্য মন্ত্রণালয়ের ঘোষণার আগেই বাজারে খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে গিয়েছিল।
ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবের পর বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছিলেন ১৫ দিনের মধ্যে দাম বাড়ানো হবে না।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল এবার সরাসরি কারখানা পরিদর্শন করে দাম বাড়ানোর সবগুলো অনুঘটক পর্যালোচনার পর দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হবে।
তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিউল তসলিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ১৯ জানুয়ারি বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বসার পর থেকেই সয়াবিন তেলের দাম কিছুটা বেড়েছিল। এখন সোমবার থেকে নতুন দর কার্যকর করা হবে।’