নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নাম চাইবে সার্চ কমিটি। এ ছাড়া সিভিল সোসাইটি ও মিডিয়ার গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করবে কমিটি।
রাষ্ট্রপতি গঠিত সার্চ কমিটির প্রথম দিনের বৈঠক শেষে রোববার সন্ধ্যায় এসব কথা জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে আগামীকাল থেকে ১৫ কার্যদিবস সময় আছে। তার আগেই ইনশাআল্লাহ এটা করে দেয়া হবে।
‘যেসব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে, তাদের কাছ থেকে নাম চাইব- তাদের কোনো চয়েজ আছে কি না, প্রপোজাল আছে কি না সেটা। ই-মেইল বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও সংশ্লিষ্টরা তা দিতে পারবে। ব্যক্তিগতভাবে কেউ দিতে চাইলে তা-ও দিতে পারবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আগামী পরশু আবার আমরা বসব। আগামী শনিবার দুটি এবং রোববার একটি মিটিং হবে। সিভিল সোসাইটি ও মিডিয়ার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ যারা আছেন তাদের নিয়ে কমিটি মিটিংয়ে বসবে। তাদের কোনো প্রস্তাব বা সাজেশন থাকলে তা নেয়া হবে। সবার বক্তব্য এবং আইনে যেভাবে বলা আছে, সেসব বিবেচনা করে আইন অনুযায়ী সিলেকশন করে ১০ জনের নাম দেয়া হবে।’
নির্বাচন কমিশন গঠনে সুপারিশ করতে ব্যক্তি নির্বাচন এবং কমিটির কার্যসূচি নির্ধারণে শুক্রবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বিকাল ৪টা থেকে সার্চ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত হতে থাকেন। সাড়ে ৪টা থেকে মিটিং শুরু হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সার্চ কমিটির সভাপতি বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
এর আগে শনিবার নির্বাচন কমিশন গঠনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রধান বিচারপতি মনোনীত আপিল বিভাগের বিচারক ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে সার্চ কমিটির সদস্যরা হলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, সরকারি কর্ম-কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহরাব হোসাইন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী এবং রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুজন বিশিষ্ট নাগরিক সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
সংসদ প্রণীত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনের বিধান অনুযায়ী এ সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে।