দখলের কারণে অনেকটা বিলীন বুড়িগঙ্গা নদীর আদি চ্যানেল পুনরুদ্ধারে মাঠে নামছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। আগামী মার্চ থেকে এই পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু হবে।
দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস সচিবালয়ে রোববার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক সমন্বয় সভায় এ তথ্য জানান।
তাপস বলেন, ‘আমাদের আরেকটি বড় প্রকল্প আমরা নিচ্ছি, সেটি হচ্ছে আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল। এটাই প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায় যে ঢাকার মূল যে জলপ্রপ্রাত সেটিকে পুনর্খননের কাজ আমরা শুরু করছি।
‘এখানেও আমরা নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ২৫ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিচ্ছি। দরপত্র আমরা শেষ করেছি। মার্চের মধ্যে আমরা কাজ উদ্বোধন করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আদি বুড়িগঙ্গায় দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে মানুষ শুধু দূষণ করেছে, ভরাট করেছে। এই প্রথম আমরা এটাকে দখলমুক্ত করছি এবং পুনর্খখনন করছি। এটা একটি ঐতিহাসিক বিষয় হবে।’
২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে এক জনসভায় বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল পুনরুদ্ধারে তৎকালীন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকনকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সিটি করপোরেশন একটি মহাপরিকল্পনা তৈরির কাজ শুরু করে।
তবে সে কাজ খুব একটা এগোয়নি। এরপর শেখ ফজলে নুর তাপস মেয়রের দায়িত্ব পাওয়ার পর আবারও সচল করা হয় সেই পরিকল্পনা।
আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধারে নেয়া হয় একটি মহাপরিকল্পনা। সিটি করপোরেশন বলছে, এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে খরচ হবে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা।
সিটি করপোরেশন আশা করছে, কামরাঙ্গীরচরের মুসলিমবাগ থেকে রায়েরবাজার পর্যন্ত সাত কিলোমিটারের এই চ্যানেলটি উদ্ধার হলে রাজধানীর জলাবদ্ধতার সমস্যা অনেকাংশে দূর হবে। পাশাপাশি রাজধানীবাসীর বিনোদনের জন্য তৈরি হবে নতুন পর্যটন কেন্দ্র।
আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের পাশাপাশি রাজধানীর খালগুলো দীর্ঘমেয়াদে সংরক্ষণের জন্য ৯৪৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্পও হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানান মেয়র তাপস।
তিনি বলেন, ‘খালগুলো প্রতি বছর আমরা যে পুনর্খনন করব, দখলমুক্ত করব এটি অত্যন্ত দুরূহ একটি কাজ। এ জন্য আমরা একটি প্রকল্প নিয়েছি ৯৪৫ কোটি টাকার, যেটি পরিকল্পনা কমিশন থেকে কিছু নির্দেশনা দিয়ে আমাদের পাঠিয়ে দিয়েছে।
‘আমরা সেটি আবার কমিশনে পাঠাচ্ছি। এই প্রকল্পটি হলে দীর্ঘমেয়াদি খাল সংরক্ষণ করতে পারব।’