বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এডিপি: ঋণ সহায়তায় বড় কাটছাঁট হচ্ছে

  •    
  • ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৯:২১

আইএমইডির তথ্য বলছে, অর্থবছরের প্রথমার্ধে এডিপির বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র ২৪ শতাংশ। এডিপি বাস্তবায়নে এই ধীরগতির কারণে বড় ধরনের কাটছাঁটের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে এর পুরোটাই যাচ্ছে প্রকল্প সহায়তা বা ঋণের ওপর দিয়ে। অপরির্তিত থাকছে দেশি অর্থায়ন।

বছরের অর্ধেকের বেশি সময় পার হলেও কাঙ্ক্ষিত গতি আসছে না বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বা উন্নয়ন বাজেটে। এতে বড় কাটছাঁটে পড়ছে এডিপি। তবে এর পুরোটাই যাচ্ছে প্রকল্প সহায়তা বা ঋণের ওপর দিয়ে। অপরির্তিত থাকছে দেশি অর্থায়ন।

অর্থবছরের শুরুতে সরকারি ও সহায়তা মিলে ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকার এডিপি নেয়া হয়েছিল। এতে বৈদেশিক অংশ ছিল ৮৮ হাজার ২৪ কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপিতে (আরএডিপি) তা কমে দাঁড়াতে পারে ৭০ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। সে হিসাবে কমবে প্রায় ১৭ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা। তবে অভ্যন্তরীণ উৎস বা সরকারি খাত থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয়বরাদ্দে কোনো হেরফের হচ্ছে না।

বৈদেশিক বরাদ্দ কমানোর হার গত অর্থবছরের চেয়ে এবার দ্বিগুণের বেশি হচ্ছে। গত বছর সাড়ে ৭ হাজার কোটি ঋণ সহায়তা কমেছিল আরএডিপিতে।

তবে এডিপি সংশোধন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে আরও মাসখানেক অপেক্ষা করতে হবে। তা মার্চের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে পারে।

পরিকল্পনা কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মো. ছায়েদুজ্জামান বলেন, ‘বিদেশি সহায়তার অংশ খরচ করতে হলে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোকে নানা শর্তের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তাদের পরামর্শ মেনে চলতে হয়। এ জন্য উন্নয়ন প্রকল্পে বিদেশি অংশের চেয়ে সরকারি অংশ বেশি খরচ হয়। তাই এবারের এডিপিতে বৈদেশিক ঋণ কমলেও সরকারি অংশের অর্থায়ন কমছে না।’

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) তথ্য বলছে, ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থবছরের প্রথমার্ধে এডিপির চার ভাগের এক ভাগও বাস্তবায়ন হয়নি। ছয় মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে মাত্র ২৪ শতাংশ। সংস্থার অর্থায়নসহ এবারের এডিপির মোট আকার ছিল ২ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো খরচ করতে পেরেছে ৫৬ হাজার ৯৬২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এডিপি বাস্তবায়নে এই ধীরগতির কারণেই বড় ধরনের কাটছাঁটের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

কমিশন বলছে, এডিপির সরকারি অংশের অর্থ ব্যবহার তুলনামূলক সহজ হওয়ায় সরকারি তহবিল থেকে বেশি বরাদ্দ চাচ্ছে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়। অনেকেই তাদের সরকারি অংশ বরাদ্দের সিংহভাগ ইতোমধ্যে খরচ করে ফেলেছে। বিদেশি অংশে তেমন একটা হাত পড়েনি। আবার গত কয়েক মাসে পাস হওয়া নতুন প্রকল্পেও বরাদ্দের চাপ রয়েছে। ফলে সরকারি অংশের টাকা খুব একটা কমানোর সুযোগও নেই।

ধীরগতির অর্থব্যয়ের মধ্যে সরকারি অংশের চেয়ে ব্যয়ে ঢের পিছিয়ে উন্নয়ন সহায়তা অংশের ব্যয়। ডিসেম্বর পর্যন্ত মন্ত্রণালয়গুলো যেখানে সরকারি সহায়তার ৩৪ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকা খরচ করেছে, সেখানে বৈদেশিক সহায়তা অংশে খরচ হয়েছে ১৯ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা।

কমিশন বলছে, এডিপিতে বড় কাটছাঁটের অন্যতম কারণ করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তার। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ থাকলেও বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে খরচ করতে না পারার আশঙ্কায় অর্থ ফেরত দিতে চাচ্ছে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো।

চলতি অর্থবছরের এডিপিতে ১ হাজার ৫৯১টি প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে বিনিয়োগ প্রকল্প ১ হাজার ৩৭২টি, কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ১২০টি, উন্নয়ন সহায়তায় থোক বরাদ্দ থেকে ৯টি এবং নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ৯০টি প্রকল্প রয়েছে। তবে গত কয়েক মাসে অর্ধশতাধিক নতুন প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে, যা যোগ হবে আরএডিপিতে।

এ বিভাগের আরো খবর