বরগুনার পাথরঘাটা থেকে দক্ষিণ পশ্চিম সুন্দরবন এলাকায় বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যাওয়া ১২ ট্রলারের মধ্যে ১১টি উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ১৪৪ জেলেকে।
এ ঘটনায় দুই জেলের মরদেহ পাওয়া গেছে বলে জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী নিশ্চিত করলেও মোংলা কোস্টগার্ড জানিয়েছেন, মরদেহ মিলেছে তিনটি।
ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম জানান, তাদের ও সুন্দরবনের দুবলার চর ফিশারম্যান গ্রুপের সমন্বয়ে চলছে উদ্ধারকাজ। এখনও নিখোঁজ আছেন অনেক জেলে। তবে ঠিক কতজন নিখোঁজ, তা তিনি জানাতে পারেননি।
তিনি বলেন, ‘শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শনিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত ৩০ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার পর্যন্ত ১১ ট্রলার ও ১৪৪ জন জেলেকে উদ্ধার হয়েছে।’
তবে বাংলাদেশ ফিশিং বোট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা চৌধুরি জানান, এ ঘটনায় ডুবেছে ৩২টি ট্রলার; যার মধ্যে বরগুনার আছে ১২টি।
তিনি বলেন, ‘ঝড়ের কবলে ৩২টি ট্রলারডুবির খবর পেয়েছি। এর মধ্যে ১২টি বরগুনার, বাকি ২০টি বাগেরহাট ও পিরোজপুর এলাকার। রোববার দুপুর পর্যন্ত তিনজনের মরদেহ ও ১৪৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধানে কোস্টগার্ড, বনবিভাগ ও ট্রলার মালিক সমিতি যৌথ অভিযান চালাচ্ছে।’
তিনি আরও জানান, এখনও ১৪ জেলে নিখোঁজ।
একই তথ্য জানিয়েছেন মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার লুৎফর রহমানও।
তিনি জানান, মৃত জেলেরা হলেন বাগেরহাটের চিতলমারীর মামুন শেখ, বিধান হালদার ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ইসমাইল শেখ।