সপ্তম ধাপে দেশের ২০ জেলার ২৪ উপজেলার ১৩৮ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) আজ ভোট। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।
১৩৮ ইউপির মধ্যে ৯ ইউনিয়নে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হবে। বাকি ১২৯ ইউপিতে ভোট হবে প্রচলিত ব্যালট পদ্ধতিতে।
ইতোমধ্যে এ ধাপের নির্বাচনি প্রচারণা শেষ হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইউপি ভোটের পরিস্থিতি ভালো আছে। এখন পর্যন্ত বড় কোনো সহিংসতার তথ্য পাইনি।
‘আমাদের প্রস্তুতি আছে। সুষ্ঠু ভোটের প্রত্যাশা করছি।’
সপ্তম ধাপের এ ইউপি নির্বাচনে বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন ৭১ প্রার্থী। যার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১১ জন, সংরক্ষিত পদে ১৩ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ভোটের আগেই নির্বাচিত হয়েছেন ৪৭ জন।
ভোটের মাঠের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন ৫ হাজার ৮৭৪ জন। চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৫৭৬ জন, সংরক্ষিত পদে ৫৭৬ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৪ হাজার ৬২ জন।
১ হাজার ৩৫০টি ভোটকেন্দ্রে ৭ হাজার ৮৫ ভোটকক্ষ রয়েছে।
২৪ লাখ ৫১ হাজার ৭৮২ ভোটার ভোট দেবেন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৮৬ জন। নারী ভোটার ১১ লাখ ৯৪ হাজার ২২৯ জন ও ট্রান্সজেন্ডার ভোটার রয়েছেন ৩ জন।
নির্বাচন উপলক্ষে ভোটকেন্দ্রে ২২ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে। প্রতি ইউনিয়নে পুলিশ, এপিবিএন ও আনসারের সমন্বয়ে একটি মোবাইল ফোর্স থাকবে। প্রতি তিনটি ইউনিয়নে এদের সমন্বয়ে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে।
এ ছাড়া র্যাবের সমন্বয়ে প্রতি উপজেলায় মোবাইল টিম দুটি ও একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে।
বিজিবির সমন্বয়ে প্রতি উপজেলায় মোবাইল টিম দুটি ও একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। এ ছাড়া উপকূলীয় এলাকায় কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে দুটি মোবাইল টিম ও একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পরদিন থেকে নির্বাচন সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রতি উপজেলায় একজন ও ভোটগ্রহণের আগের দুই দিন, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরের দিন অর্থাৎ মোট চার দিনের জন্য প্রতি ইউনিয়নে কমপক্ষে একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের নির্দেশনা রয়েছে।
এ ছাড়া স্থানীয় চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের নির্দেশনা রয়েছে।